কলকাতা : বাস্তু শাস্ত্রে প্রতিটি ঘরের একটি নির্দিষ্ট দিক উল্লেখ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী বাড়ির মন্দির সম্পর্কিত বিশেষ নিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে। বাড়িতে দেব-দেবীর আশীর্বাদ যাতে থাকে এবং পুজোর পূর্ণ সুফল পাওয়া যায়, সেই জন্য পুজোর ঘরে বাস্তু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। ভুল নিয়মে করা পুজো থেকে সুফল পাওয়ার পরিবর্তে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।  
 
এবিপি নিউজকে জ্যোতিষী ডাঃ অনীশ ব্যাস জানিয়েছেন, পুজোর স্থান থেকে ঘরে ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার হয়। তাই বাস্তু অনুসারে আপনার পুজো ঘরটি এমন হওয়া উচিত যাতে বাড়িতে আরও ভাল উপায়ে ইতিবাচক শক্তি সঞ্চারিত হয়। বাস্তুতে, প্রতিটি দেবতার একটি নির্দিষ্ট দিক উল্লেখ করা হয়েছে।


জ্যোতিষী বলেন যে, প্রতিটি দিকের জন্য দেবতা রয়েছে। যিনি সেই দিকটিকে প্রতিনিধিত্ব করেন। তাই ওই এলাকায় দেবতার আশীর্বাদ পেতে হলে ওই নির্দিষ্ট দিকেই পুজো করা ভাল। যেমন- দেবী মা ও হনুমানজির দক্ষিণ দিকে, গণেশ, লক্ষ্মী ও কুবেরের উত্তর দিকে, উত্তর-পূর্ব দিকে রাধা-কৃষ্ণের পুজো করা উচিত।


পূর্ব দিকে শ্রী রাম দরবার, ভগবান বিষ্ণু ও সূর্যের পুজো করলে পরিবারে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়। পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বিদ্যা দানকারী মা সরস্বতীর পুজো করলে জ্ঞান বৃদ্ধি পায়। সম্পর্ক ও সংযোগের দিক, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে পূর্বপুরুষদের পুজো সুখ ও সমৃদ্ধি দেয়।


জ্যোতিষী জানান, সকাল-সন্ধ্যা নিয়মিত প্রদীপ জ্বালাতে হবে এবং পুজোর স্থানে একটি শঙ্খ রাখতে হবে। এমনটা করলে নেতিবাচক শক্তি দূর হবে এবং পরিবারে সুখ ও সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি হবে। পুজোর ঘরে কখনোই শুকনো ফুল রাখবেন না। এটিকে বাস্তুতে অশুভ বলে মনে করা হয়। পুজোর ঘরে হালকা সবুজ, হলুদ, বেগুনি বা ক্রিম যে কোনও ধরনের সাত্ত্বিক রং ব্যবহার করলে মনে শান্তি আসে।


জ্যোতিষী বলেছেন, উপাসনালয়ের নীচে বা উপরে টয়লেট থাকা উচিত নয়। পুজোর ঘরে মহাভারতের ছবি, পশু-পাখির ছবি রাখা উচিত নয়। এমনকী মৃত ব্যক্তির ছবিও এখানে রাখা উচিত নয়। পুজোর ঘরে সম্পদ লুকিয়ে রাখা শুভ বলে মনে করা হয় না। এখানে কোনো খণ্ডিত ছবি বা মূর্তি রাখবেন না। দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে তৈরি ঘর পুজোর জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে