কলকাতা : স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে হঠাৎ বিরোধ? কথায় কথায় বেঁধে যাচ্ছে ঝগড়া ? দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা, বিশ্বাস ও মাধুর্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ছোটখাটো ঝগড়া অশান্তি কারণ ছাড়াই বেঁধে যায়। খেয়াল রাখতে হবে, আপনার বাস্তুতে কোনও ত্রুটি নেই তো ?


বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, সম্পর্কে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব দূর করে ইতিবাচক শক্তিকে ডেকে আনতে হবে।  বাড়ির সজ্জার ক্ষেত্রে কিছু ভুল হলে তা অশান্তি টেনে আনে। আপনার দাম্পত্য জীবনেও যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে বাস্তুশাস্ত্রের সাহায্যে সম্পর্কটিকে আগের মতো সুন্দর করে তুলতে পারেন। এর জন্য আসুন জেনে নেওয়া যাক বাস্তুশাস্ত্র সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি।


এই বাস্তু টিপস দাম্পত্য জীবনকে সুখী করে তুলবে



  • বিবাহিতরা বেডরুমের জন্য হালকা সবুজ, গোলাপি, সাদা, নীল, হলুদের মতো রং বেছে নেওয়া উচিত। এই রং ঘরে ইতিবাচকতা আনবে।

  • স্বামী স্ত্রীকে একই বিছানায় ঘুমাতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ডাবল বেডে দুটি আলাদা ম্যাট্রেস  একসঙ্গে রাখা উচিত নয়। বরং ডাবল বেডের জন্য একটিমাত্র ম্যাট্রেস থাকতে হবে।

  • বিবাহিতদের ঘরে জোড়া পাখির ছবি রাখা উচিত। এছাড়া ঘরে রাধা-কৃষ্ণের ছবিও লাগাতে পারেন।

  • দম্পতির বেডরুমে কখনই মৃত পূর্বপুরুষের ছবি রাখবেন না। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

  • বিবাহিত দম্পতিরা তাদের মূল বেডরুমে গোলাপ, জুঁই এবং রজনীগন্ধার মতো সুগন্ধি ফুল রাখতে পারেন। তবে মনে রাখবেন ফুল শুকিয়ে গেলে বা বাসি হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলুন।

  • স্ত্রীকে সবসময় স্বামীর বাম পাশে ঘুমাতে হবে। এতে সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে।

  • রাতে ঘুমানোর সময় আপনার মাথা দক্ষিণ দিকে এবং পা উত্তর দিকে থাকা উচিত।

  • শোওয়ার ঘরে খুব বড় আয়না থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে ফেলুন। অন্যদিকে বিছানার ঠিক সামনে আয়না থাকলে রাতে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।

  • বেডরুমে অতিরিক্ত বৈদ্যুতিন জিনিসপত্র রাখবেন না। এগুলোর কারণে বাস্তু দোষ হয় এবং এর সাথে মানসিক চাপও তৈরি হয়।

  • আপনি যদি আপনার বেডরুমে বিয়ের ছবি লাগাতে চান তবে তা পশ্চিম দিকের দেওয়ালে লাগান।


ডিসক্লেমার : (কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)