কলকাতা : আমরা খাওয়া-দাওয়া যতই ভাল করি না কেন, যদি ভাল ঘুম (Sleep) না হয়, তাহলে আমরা কখনই সুস্থ থাকতে পারব না। আমাদের সবার জন্য, ঘুম খাবার খাওয়ার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। ভাল ঘুম হলে আমরা সারাদিন উজ্জীবিত থাকতে পারি। কিন্তু, যদি ঘুম খারাপ হয়, তাহলে পুরো দিনটা 'মাটি' হয়ে যায়। এর সাথে সাথে স্বাস্থ্যও ভেঙে পড়ে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মানসিক চাপ বাড়ে এবং তাকে ঘিরে অনেক রোগ শুরু হয়।


ভাল ঘুমাতে গেলে আমাদের জানা উচিত কীভাবে ঘুমাতে হয়। ধর্মীয় ও নীতিশাস্ত্রে, ঘুমের সাথে সম্পর্কিত নিয়মগুলি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেই নিয়মগুলি সঠিকভাবে মেনে চললে দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবন লাভ করা যায়।


শোওয়া-সম্পর্কিত সঠিক নিয়ম এগুলি-


মনুস্মৃতি অনুসারে (According to Manusmriti), কোনও ব্যক্তির ঘরে একা ঘুমানো উচিত নয়। কোনও মন্দির বা শ্মশানে ঘুমানো উচিত নয়। বাড়িতে একা থাকলে ঘুমানোর সময় মাথার কাছে জলের পাত্র এবং একটি লোহার ছুরি রাখুন।


বিষ্ণুস্মৃতি অনুসারে, ঘুমন্ত কাউকে হঠাৎ করে জাগানো উচিত নয়। এমনটা করলে পাপের ভাগীদার হতে হয়।


চাণক্য নীতি অনুসারে, ছাত্র, চাকর বা দারোয়ানদের দীর্ঘক্ষণ ঘুমিয়ে থাকা উচিত নয়। বেশি ঘুমানো বিপজ্জনক।


পদ্মপুরাণ অনুসারে, স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে সুস্থ ব্যক্তিকে ব্রহ্মমুহূর্তে উঠতে হবে। অন্ধকার ঘরেও ঘুমানো উচিত নয়। কোথাও থেকে যেন সূক্ষ্ম আলোর রশ্মি অবশ্যই আসে।


দেবী ভাগবতের মতে, দীর্ঘায়ু লাভের জন্য ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠতে হবে। এটা করা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল।


মহাভারত অনুসারে, ভাঙা খাটের উপর এবং অপরিষ্কার মুখে ঘুমানো উচিত নয়। এ জাতীয় ঘুম দারিদ্র নিয়ে আসে। গৌতম ধর্ম সূত্র অনুসারে, বিনা বস্ত্রে ঘুমানো উচিত নয়। এতে ঘরে অর্থের অভাব হয় এবং অনেক রোগও হয়।


ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ অনুসারে, দিনের বেলা এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় ঘুমানো উচিত নয়। এমনটা করলে আরও দারিদ্র নেমে আসে।


ডিসক্লেইমার (Disclaimer): এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রকার কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্যে এবিপি লাইভের কোনও সম্পাদকীয় মতামত নেই। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।