কলকাতা: বকেয়া ডিএ (DA) ইস্যুতে রাজ্য়ের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সরকারি কর্মচারীরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার আরও একধাপ এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা তোপ দাগলেন বামেদের বর্ষীয়ান নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।

  


এদিন সুজন চক্রবর্তী টুইটে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ডিএ মানুষের প্রাপ্য টাকা। তিনি দেবেন কি করে ? ''আমি কি ম্যাজিশিয়ান ?'' তার আমলে মাত্র ১১ বছরে, সরকার যে বিপুল পরিমাণ টাকা ধার করেছে, তা শুধু মেলা খেলাতেই চলে গেল ! লোকে বলছে এই ক'বছরে , রেকর্ড পরিমাণে টাকা স্রেফ ভ্যানিশ করে ''মুখ্যমন্ত্রী তো দারুন ম্যাজিশিয়ান'' !' 


গতকাল খাদ্য ভবনে শুনতে পাওয়া যায় ভিন্ন মতামত। একদিকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় থেকে রাজ্য সরকার বিরোধী স্লোগান দিতে দিতে অবস্থান করছেন সরকারি কর্মীচারিরা। পাশাপাশি, তারই পাশে সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন যারা রয়েছেন, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে  অভিনন্দন জানিয়ে তাঁরা এখানে কিন্তু, পাল্টা স্লোগান এখানে দিচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, যারা উন্নয়নকে স্তব্ধ করতে চাইছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই।  বাংলার উন্নয়ন যেভাবে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁকে যারা বাধা দেবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। এত আর্থিক বঞ্চনা সত্বেও আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ৩ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। তাতে আমরা খুশি আছি।'


 যদিও ৩ শতাংশ DA বৃদ্ধির পরও, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-এর ফারাক রয়েছে ৩২ শতাংশ। এরই প্রতিবাদে, সোম ও মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের দফতরে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। যার মোকাবিলায় শনিবার এই কড়া সার্কুলার জারি করে নবান্ন। অর্থ দফতরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থের জারি করা নির্দেশিকায় উল্লেখ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নবান্ন এই সার্কুলার জারি করতেই, আরও ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন DA-এর দাবিতে আন্দোলনকারীরা।  


আরও পড়ুন, 'এতদিন কেন ছেড়ে রেখেছিলেন?' চন্দন ইস্যুতে CBI-কে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারকের


অপরদিকে, শুভেন্দু বলেন, 'ডিএ সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের, তার রাজস্ব আদায় থেকে দিতে হয়। অন্য রাজ্য যা করছে সেটা এই রাজ্যকেও করতে হবে। একমাত্র ওষুধ হচ্ছে অফিসগুলোতে তালা-চাবি লাগানো। জরুরি পরিষেবা ছাড়া তালা-চাবি লাগান। যতক্ষণ না ডিএ দিচ্ছে, আটকে রাখুন, জব্দ হবে। এখন আংশিক করছেন, আগামীদিনে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিন, আমাদের সমর্থন আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কীভাবে জব্দ করতে হয় সরকারি কর্মীরা জানে। আজ আংশিক সফল হয়েছে, আগামী দিনে সম্পূর্ণ সফল হয়েছে, আমরা পাশে আছি'।