কলকাতা : বাড়িতে সুখ এবং সমৃদ্ধি আনতে বাস্তুশাস্ত্রের (Vastu Shastra) নিয়মগুলি খুব কার্যকর বলে মনে করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র ইতিবাচক এবং নেতিবাচক শক্তির কথা বলে। ইতিবাচক শক্তি (Positive Force) ঘরে সুখ এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে, যেখানে নেতিবাচক শক্তি জীবনে অনেক সমস্যা তৈরি করে। অনেক সময় সবকিছু সঠিকভাবে করার পরেও একজন ব্যক্তিকে বারবার ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়। 


বাস্তু অনুসারে, একজন ব্যক্তির কিছু অভ্যাস তার উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করে। এসব অভ্যাসের কারণে ঘরে সবসময় আর্থিক সংকট লেগে থাকে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এই ধরনের অভ্যাস থেকে নিজেকে দূরে রাখা উচিত।


এই অভ্যাসগুলি কী কী ?



  • অনেকেই বিছানায় বসে খাবার খান। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বিছানায় বসে খাবার খেলে মা লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন, সেই সঙ্গে ঘরের সুখ-শান্তি নষ্ট হয়। বিছানায় বসে খেলে পরিবারের সদস্যদের উপর ঘৃণা বাড়ে।

  • রাতের খাবার খাওয়ার পর অনেকেই রান্নাঘর নোংরা এবং বাসনপত্র সিঙ্কে ফেলে রেখে ঘুমিয়ে যান। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এতে মা অন্নপূর্ণা রেগে যান। ব্যক্তিকে আর্থিক সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয়।

  • বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ঘরের প্রধান দরজায় কখনই ডাস্টবিন রাখা উচিত নয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, প্রধান দরজা দিয়ে দেব-দেবী বাড়ির অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন, যার ফলে ঘরে ইতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে। এই অবস্থায় প্রধান ফটকে ডাস্টবিন রাখলে মা লক্ষ্মী রাগ করেন।

  • দান-দক্ষিণা পুণ্য দেয়। কিন্তু বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে সূর্যাস্তের পর দুধ, দই, পেঁয়াজ, লবণের মতো জিনিস দান করা উচিত নয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, সন্ধ্যায় এই জিনিসগুলি দান করলে মা লক্ষ্মী ক্রুদ্ধ হন এবং ঘরে দারিদ্র আসে।


প্রসঙ্গত, জীবনে কখনো কখনো এমন কষ্ট আসে যা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন বলে মনে হয়। অনেক সময় বাড়িতে বাস্তু ত্রুটির কারণেও এটি ঘটে। বাস্তুশাস্ত্রে এমন অনেক ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে, যা অবলম্বন করলে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি আসে। বাস্তুতে, বাড়ির প্রতিটি কোণ এবং ঘরে রাখা প্রতিটি জিনিসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।


ডিসক্লেইমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রকার কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্যে এবিপি লাইভের কোনও সম্পাদকীয় মতামত নেই। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।