চাঁচল : মালদার (Malda) চাঁচলে বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মি়ড ডে মিলের (Mid Day Meal) জন্য মজুত চালে মরা টিকটিকি এবং ইঁদুর উদ্ধারের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল স্কুলশিক্ষা দফতর। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সাহা রায় ও সাব ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস আব্দুল হানিফকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, স্কুলের চুক্তিভিক্তিক কর্মী স্বপ্না সরকারকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর।
গত বুধবার চাঁচলে বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের জন্য মজুত করা চালের ড্রামের ভিতর মেলে মরা টিকটিকি ও ইঁদুর। এই ঘটনায় বিডিও-র নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে শিক্ষা দফতরের কাছে তিনজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন মালদার জেলাশাসক।
খাবার-খতিয়ান দেখতে 'দল' -
কোথাও সাপ, কোথাও ইঁদুর, কোথাও টিকটিকি। মিড ডে মিল নিয়ে গত কয়েকদিনে সামনে এসেছে এমন অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে মিড ডে মিল প্রকল্প কেমন চলছে, দেখতে আসছে কেন্দ্রীয় দল। রাজ্য়ের আধিকারিকদের নিয়ে তারা খতিয়ে দেখবে, রান্নাঘরের কী অবস্থা? ছাত্র-ছাত্রীরা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কি না। খাবার পরীক্ষা হচ্ছে কিনা। অন্য়দিকে এই দলের আসা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
জানুয়ারি থেকেই মিড ডে মিলে মুরগির মাংস এবং ফল দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তারপর থেকে মিড ডে মিল নিয়ে সামনে এসেছে একাধিক অভিযোগ। কোথাও মিড ডে মিলের মধ্য়ে মিলেছে সাপ। কোথাও মিড ডে মিলের চালের ড্রামে পাওয়া গেছে মরা ইঁদুর। আর শুক্রবারই মিড ডে মিলের খিচুড়ির মধ্য়ে টিকটিকি মিলেছে বলে অভিযোগ। ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই মিড ডে মিলের বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখতে সম্ভবত ২০ জানুয়ারি রাজ্য়ে আসছে কেন্দ্রীয় দল।
রাজ্য় সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে, তারা খতিয়ে দেখবেন। রাজ্য, জেলা ও ব্লক স্তর পরিকাঠামো কেমন? রান্নাঘরের কী অবস্থা? ছাত্র-ছাত্রীরা পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে কি না। খাবার পরীক্ষা হয় কিনা। প্রসঙ্গত, মিড ডে মিল প্রকল্পের ৬০ শতাংশ খরচ দেয় কেন্দ্র। ৪০ শতাংশ দেয় রাজ্য। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৮৫ হাজার স্কুলে ১ কোটি ১৬ লক্ষ শিশু মিড ডে মিল প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।
আরও পড়ুন ; আবাস যোজনার পর এবার স্কুলশিক্ষা, মিড মে মিল পর্যালোচনায় আসছে এবার কেন্দ্রীয় দল