কলকাতা : জীবনে উন্নতি করতে বাস্তুর নিয়ম মেনে চলা উচিত। এই নিয়মগুলি উপেক্ষা করলে আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে। কিছু বাস্তু ব্যবস্থার মাধ্যমে আর্থিক জীবন উন্নত হতে পারে। জ্যোতিষশাস্ত্র এবং বাস্তু বিশেষজ্ঞ অর্চনা গোয়েল এবিপি নিউজকে এমন কয়েকটি বাস্তু ব্যবস্থার কথা বলেছেন, যার মাধ্যমে আর্থিক পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নত করা যেতে পারে।
ধনপ্রাপ্তির বাস্তু টিপস-
প্রতিদিন সকালে ঘরের জানালা-দরজা খুলে দিতে হবে। সূর্য উঠলে তার আলো ঘরের ভিতরে আসতে শুরু করে, যা ঘরে ইতিবাচক শক্তি বাড়ায়। প্রাকৃতিক আলো বাস্তু দোষ কমায়।
বাড়ির প্রধান ফটকে তুলসি গাছ রাখতে হবে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, এমনটা করলে আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়। এছাড়া বাড়ির পূর্ব বা উত্তর দিকে তুলসি গাছ রাখা ভাল।
বাস্তুতে, শঙ্খ ও পিরামিডকে অত্যন্ত শুভ এবং ইতিবাচক শক্তিতে পূর্ণ বলে মনে করা হয়। শঙ্খ পুজোর স্থানে রাখতে হবে। বাড়ির উত্তর দিকে পিরামিড রাখলে দ্রুত ধন-সম্পদ লাভের ইচ্ছা পূরণ হয়।
বাস্তু অনুসারে বাড়ির প্রবেশদ্বারের যত্ন নেওয়া উচিত। বাড়ির নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা এবং সুষম শক্তির জন্য প্রবেশদ্বারের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ঘরের কল থেকে জল বের হলে তা দ্রুত মেরামত করতে হবে। জলকে সম্পদের একটি রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কল বা ট্যাঙ্ক থেকে অপ্রয়োজনীয় জল পড়াকে শুভ বলে মনে করা হয় না।
ঘরের আলমারি দক্ষিণ দিকের দেওয়াল ঘেঁষে রাখতে হবে, যাতে এর দরজা উত্তর দিকে খোলে। এর পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ হচ্,ছে সূর্যের রশ্মি পূর্ব দিক থেকে এসে দক্ষিণের দেওয়ালকে আলোকিত করে।
আপনার বাড়িতে যদি কাঁটাযুক্ত, শুকিয়ে যাওয়া বা রস বের হওয়া গাছ থাকে তবে সেগুলি সরিয়ে ফেলুন। বাস্তুশাস্ত্রে এগুলোকে ঘরে রাখা অশুভ বলে মনে করা হয়।
বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে পুজোর ঘর থাকা ভাল বলে মনে করা হয়। কারণ সমস্ত দেব-দেবী উত্তর-পূর্ব কোণে থাকেন। এছাড়াও বাড়ির পূর্ব দিকে একটি স্বস্তিক চিহ্ন থাকতে হবে। বাড়িতে যদি বাস্তু দোষ থাকে তাহলে প্রতিদিন ঘরে কর্পূর জ্বালান।
ঘর বিশৃঙ্খল হওয়া উচিত নয়। অগোছালো ঘর থেকে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এটি উদ্বেগ, চাপ এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণও হয়ে ওঠে।
ডিসক্লেমার : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে bengali.abplive.com-এর সম্পাদকীয় স্তরে এ ব্যাপারে কোনও মতামত নেই এবং অনুসরণের জন্য এবিপি নেটওয়ার্ক পরামর্শও দেয় না। কোনো তথ্য বা বিশ্বাস বাস্তবায়নের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নিন।