বাংলাদেশ: ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঢাকায় ( Dhaka Explosion)। উৎসবের আবহের মাঝেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৭ জনের মৃত্যু (Death) হয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে। এএনআই সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আহত-র সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৭০ ছাড়িয়েছে। 






শেষ অবধি পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে  নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। বিস্ফোরণের পরেই ঘটনাস্থলে  পৌঁছেছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে উদ্ধার কাজ। ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশও।


 বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ঢাকার গুলিস্তানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন অর্থাৎ বিরআরটিসির বাস কাউন্টারের পাশেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও বিস্ফোরণে পরে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এর দায় শিকার করেনি।  


তবে বিস্ফোরণের ঘটনা শুধু ওপার বাংলাতেই নয়, এপার বাংলাতেও রয়েছে ভুরিভুরি। সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ফের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমে।  সন্ধে সাতটা নাগাদ, পাড়ুইয়ের ভেড়ামারীতে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য শেখ হাফিজুলের বাড়ির গোয়াল ঘরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে গোয়ালঘর।তবে বিস্ফোরণের পরেই বেপাত্তা হন তৃণমূল নেতা।


বিস্ফোরণের পেরই SDPO-র নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কেউ আহত হয়েছেন কি না, পুলিশের তরফ থেকে তা স্পষ্ট করা হয়নি। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, তাঁর বিকট শব্দ ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে বোলপুরেও শোনা গেছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বোমা উদ্ধারের  ঘটনায় ইতিমধ্যেই অসংখ্যবার নাম উঠেছে বীরভূমের।


বোমা উদ্ধারের ঘটনায় হনহনিয়ে বোম স্কোয়াডের ভারী বুটের দৃশ্য সামনে এসেছে সংবাদমাধ্য়মে। সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতাদেরও। এমন কি অতীতে রাজনৈতিক নেতার বাড়িতেও বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এবার বিষয়টা, আর শুধুই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় থেমে নেই। খোদ শাসকদলের নেতার  গোয়াল ঘরেই এবার বোমা বিস্ফোরণ।


আরও পড়ুন, অপেক্ষা শেষ, অনুব্রত-কে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিল বিমান


এবার সবথেকে বড় কথা হচ্ছে, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় হরিদেবপুরকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, 'অস্ত্র আসছে বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকে।' অপরদিকে, 'বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ', পাল্টা তোপ দেগেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। এমন বলেছিলেন কি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও।