নয়াদিল্লি: সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বাংলাদেশে (Bangladesh Bus Accident)। ঢাকা যাওয়ার পথে যাত্রীভর্তি বাস পড়ে গেল খাদে। তাতে মহিলা-সহ কমপক্ষে ১৯ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর মিলেছে এখনও পর্যন্ত। বাসে থাকা ৩০ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই মৃত্যুসংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছে পুলিশ (Bangladesh News)।
বাসের সামনের অংশ কার্যত হাঁ হয়ে গিয়েছে
মাদারিপুরের উপজেলা শিবচরের কুতুবপুরে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইমাদ পরিবহণের ওই বাসটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পদ্মা সেতুতে ওঠার রাস্তা ধরে। আর সেই সময়ই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীসমেত গিয়ে পড়ে খালে। দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসের সামনের অংশ কার্যত হাঁ হয়ে গিয়েছে। একটি চাঙড় ঢুকে এসেছে তার মধ্যে।
মাদারিপুরের পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট মহম্মদ মাসুদ আলম জানিয়েছেন, আহতদের একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছেন বেশ কয়ে জন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্য়ু হয়েছে দু'জনের। শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন অনেকে। সবমিলিয়ে আহতের সংখ্যা প্রায় ৩০ জন।
বেপরোয়া গতির জন্যই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে মাদারিহাটের পুলিশ। পুলিশ সুপার আলম জানিয়েছেন, বেপরোয়া গতিতে চালানোর জন্য়ই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় বলে মনে করা হচ্ছে। তা থেকেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ফরিদপুরে দমকল বিভাগের সহকারী ডিরেক্টর শিপলু আহমেদ জানিয়েছেন, দুরন্ত গতিতে ছুটে আসার সময় বোধহয় বাসটির চাকা ফেটে গিয়েছিল। তার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে খাদে আছড়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে ভিড় উপচে পড়ে এ দিন। উদ্ধারকার্যে যোগ দেয় দমকলের তিনটি ইউনিট। মৃতদের অনেককে এখনও শনাক্ত করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। সোনাডাঙা বাস কাউন্টারের কর্মী মহম্মদ সবুজ খান জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে যখন বাসটি ছাড়ে, সেই সময় ৪০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন।
বাংলাদেশে যানবাহনের গুণমানকেই মূলত দায়ী করা হয় দুর্ঘটনার জন্য
বাংলাদেশে প্রায়শই এমন পথ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তার জন্য যানবাহনের গুণমানকেই মূলত দায়ী করা হয়। খারাপ রাস্তা, এমনকি অনভিজ্ঞ চালকের গাফিলতিও উঠে এসেছে একাধিক বার। গত বছর জুলাই মাসে, ইদের আগে মাত্র দু'সপ্তাহে পথ দুর্ঘটনায় প্রায় ৪০০ জনের মৃত্যু হয়। ওই সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩০০-র বেশি পথ দুর্ঘটনা ঘটে।