Scam Calls: আজকাল মোবাইল ফোন (Mobile Phone) আমাদের সারাক্ষণের সঙ্গী। আর এই ফোনের সাহায্যেই প্রতিদিনের জীবনের একাধিক কাজ আমরা করে থাকি। তাই মোবাইলের ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু বেশিই সতর্কতা প্রয়োজন যাতে আমরা বিপদে না পড়ি। চারপাশে উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারণা। মোবাইল ফোনে আসা ফোনকলের (Scam Calls) মাধ্যমেও প্রতারিত হতে পারেন আপনি। খোয়া যেতে পারে টাকা। কিংবা ফাঁস হয়ে যেতে পারে গোপন, ব্যক্তিগত তথ্য। মোবাইলে আসা এই ধরনের ফোনকলকে স্প্যাম কল (Spam Calls) বা স্ক্যাম কল বলা হয়। এই জাতীয় ফোনকল এড়াতে চাইলে কী কী করবেন দেখে নেওয়া যাক। স্ক্যামার এবং হ্যাকারদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল স্মার্টফোন। শুধু ফোনকল নয়, মেসেজের আড়ালেও আপনার জন্য প্রতারণার ফাঁদ পাতা থাকতে পারে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। নাহলে সাইবার ক্রাইমের শিকার হবেন আপনি।
ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না- নিজের ব্যক্তিগত তথ্য যেকোনও জায়গায় শেয়ার না করাই ভাল। বিশেষ করে নাম, ঠিকানা, ব্যাঙ্কের তথ্য, জন্ম তারিখ এইসব তথ্য যেখানে সেখানে শেয়ার না করাই ভাল। ফোনে আমরা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করি। এছাড়াও অনলাইন শপিং আজকাল জনপ্রিয়। সবেতেই দরকার লগ-ইন ক্রেডেন্সিয়াল। সেক্ষেত্রে উল্লিখিত তথ্য ব্যবহার না করাই ভাল। ফোনে কথা বলার সময় কিংবা মেসেজে আপনি এইসব ব্যক্তিগত তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার করলে সেটা হ্যাক করে নিতে হ্যাকারদের বেশি সময় লাগবে না। তাই সাবধান থাকুন। কারণ হতেই পারে আপনার ফোনে আপনার অজান্তে কেউ নজরদারি চালাচ্ছে। আর এইসব তথ্য নিয়ে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা।
কখনও শেয়ার করবেন না ওটিপি- ফোনে বা মেসেজে কারও সঙ্গে ওটিপি শেয়ার করবেন না। এই ওটিপি হাতিয়ে প্রতারকরা নিমেষে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিতে পারে। অজান্তেই আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়ে যাবেন আপনি।
সন্দেহজনক নম্বর থেকে ফোন এলে তুলবেন না- যদি কোনও নম্বর দেখে সন্দেহ হয় তাহলে সেই ফোনকল রিসিভ না করাই ভাল। এই জাতীয় সন্দেহজনক স্প্যাম বা স্ক্যাম কল হোয়াটসঅ্যাপেও আসতে পারে। অচেনা নম্বর থেকে ভিডিও কল এলে বা চেনা ছকের নম্বর না হলে সেই ফোন এড়িয়ে চলুন।
ফোনে রাখুন আধুনিক অ্যাপ- এছাড়াও কোন নম্বর থেকে আপনার ফোনে ফোন আসছে তা বোঝার মতো অ্যাপ ইজের ফোনে ডাউনলোড করে রাখুন। এছাড়াও যদি দেখেন ফোনে ঘনঘন সন্দেহজনক নম্বর থেকে ফোন আসছে তাহলে অবিলম্বে সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা বিষয়টি তাঁকে জানিয়ে রাখুন।
আরও পড়ুন- ই-আধার কার্ডের 'তালা' খুলবে পাসওয়ার্ড! কীভাবে তৈরি হয়?