CRIF Report: বর্তমান সময়ে ভারত জুড়ে মহিলা ঋণগ্রহীতার সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। গোল্ড লোন হোক বা পার্সোনাল লোন কিংবা হোম লোন, খুচরো ঋণের হিসেবে দেখা যাচ্ছে মহিলাদের সংখ্যা দৃষ্টান্তমূলকভাবে বেড়েই চলেছে। ক্রেডিট ব্যুরো CRIF হাইমার্ক সম্প্রতি একটি যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত সব তথ্য। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রেক্ষাপটে সেই প্রতিবেদনেই রয়েছে মহিলা ঋণগ্রহীতাদের নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
সবথেকে বেশি গোল্ড লোন নিয়েছেন মহিলারা
CRIF-এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন থেকে দেখা যাচ্ছে, ভারতের মহিলারা সবথেকে বেশি গোল্ড লোন নিতেই পছন্দ করেন। প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে যে, গোল্ড লোন নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পরিসংখ্যানের হিসেবে সবথেকে বেশি সংখ্যায় আছেন মহিলারা। ৪৪ শতাংশ মহিলা গোল্ড লোন নিয়ে থাকেন ভারতে। অন্যদিকে শিক্ষাঋণ নিয়েছেন এমন মহিলার সংখ্যা ৩৬ শতাংশ। ঘরবাড়ি তৈরি বা কেনার জন্য হোম লোন নিয়েছেন ৩৩ শতাংশ মহিলা। আর সবশেষে সম্পত্তির জন্য ঋণ নিতে দেখা গিয়েছে ভারতের ৩০ শতাংশ মহিলাকে। আর সবথেকে কম মাত্র ২৪ শতাংশ মহিলা তাঁদের ব্যবসার জন্য ঋণ নিয়ে থাকেন।
আগের থেকে ঋণ নেওয়ার মাত্রা বেড়েছে
প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে যে মহিলারা এখন আগের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে আসছেন। কাজের জগতে উঠে আসছেন ক্রমে ক্রমে। এমনকী ঋণগ্রহণের দিক থেকেও মহিলাদের অংশগ্রহণ এখন অনেক বেশি। হোম লোন, এডুকেশন লোন, গোল্ড লোন সমস্ত বিভাগেই ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে ব্যাপকহারে। দেখা গিয়েছে, প্রতিবেদনে উল্লিখিত আছে যে আগে মহিলা ঋণগ্রহীতা ছিলেন ভারতে মাত্র ৩২ শতাংশ, এখন সেই পরিসংখ্যানও বেড়েছে। এক বছরের মধ্যেই এই পরিসংখ্যান বেড়ে হয়েছে ৩৩ শতাংশ।
হোম লোনের ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণ
প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে যে আগের থেকে অনেক বেশি সংখ্যক মহিলা এখন নিজেরা বাড়ি কিনছেন। তাছাড়া মহিলাদের জন্য হোম লোনের সুদের হার অনেক কম আর মূলত এটাই হোম লোন বেশি নেওয়ার অন্যতম কারণ।
১ বছর আগেই পার্সোনাল লোনের ক্ষেত্রে মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ। তা আজ বেড়ে হয়েছে ১৬ শতাংশ। একইসঙ্গে গোল্ড লোনের ক্ষেত্রেও মহিলাদের অংশগ্রহণের হার ৪২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৪ শতাংশ। তবে ব্যবসায়িক ঋণের ক্ষেত্রে কম অংশগ্রহণ বিষয়ে ভাবার অবকাশ আছে বলেই মনে করা হচ্ছে CRIF-এর প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: Income Tax: আয়করের রিফান্ড এখনও পাননি ? ২০২০-২১ অর্থবর্ষের রিফান্ড নিয়ে কী জানাল আয়কর বিভাগ ?