Cyber Fraud: আত্মীয় স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের বলার দিন শেষ। বর্তমানে পছন্দমতো জীবনসঙ্গী পেতে অনলাইনের দ্বারস্থ হন পাত্র-পাত্রীরা। সেই ক্ষেত্রে এক আকাশের নিচে মিলে যায় চার-হাত। যদিও সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট থেকেই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হানা দিচ্ছে প্রতারকরা।জেনে নিন কী কী উপায়ে জালিয়াতির শিকার হতে পারেন আপনি।  


Cyber Crime: গত কয়েক বছরে ভারতে অনেক বিয়ের সাইট এসেছে। এখানে অনলাইনে সম্পর্ক স্থাপনের প্রবণতাও বেড়েছে অনেক বেশি। এই প্রবণতার সুযোগ নিচ্ছে প্রতারকরা।বিয়ের অছিলায় জালে ফাঁসানো হচ্ছে ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের গ্রাহকদের। যা করতে গিয়ে আগের থেকেই নিজের ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করছে প্রতারকরা। বিবাহ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরা হচ্ছে সেই প্রোফাইল। ইতিমধ্যেই পুলিশর হাতে এসেছে এরকম বেশকিছু প্রতারণার ঘটনা। আপনি যদি এই ধরনের বিয়ের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাই ম্যাট্রিমোনিয়াল 
সাইটে নিজের বিষয়ে সব জানানোর আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন।


কীভাবে চলছে এই জালিয়াতি চক্র ?


এ ধরনের ওয়েবসাইটে বিভিন্নভাবে প্রতারণার জাল বিছিয়েছে ঠগরা। কেবল পুরুষ নন, এই প্রতারণার শিকার হন মহিলারাও। জেনে নিন ঠিক কীভাবে জাল বিস্তার করে প্রতারকরা...


প্রথম উপায় প্রথমে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে এই ঠগরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের বিদেশে বসবাসকারী বলে বর্ণনা করে তারা। স্বাভাবিকভাবে কথা বার্তা এগোনোর পরই উপহার পাঠায় জালিয়াতরা। একবার নয়, বেশ কয়েকবার আপনার কাছে উপহার পাঠায় এরা। যাতে ওই ব্যক্তির ওপর সহজেই ভরসা শুরু করেন আপনি। এরপরই শুরু হয় আসল কাজ। দেখা করার অছিলায় প্রতারকরা আপনাকে কোথাও আসতে বলবে। ঠগরা জানাবে আপনার জন্য একটি দামি উপহার অপেক্ষা করছে। কিন্তু এরপরই ভেঙে যাবে সব লালিত স্বপ্ন। হঠাৎ আপনি জানতে পারবেন, বিমানবন্দরে শুক্ল বিভাগ ধরায় হবু প্রিয়জনকে টাকা পাঠাতে হবে। সেখান থেকেই বিদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে তাকে। 


দ্বিতীয় উপায়


এখানেও ঠগরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করে। আপনার বিশ্বাস জেতার পর হঠাৎ তারা আপনাকে জরুরি প্রয়োজন বলে টাকা চাইবে। আপনি বিশ্বাস করে টাকা দিলেই আর প্রতারকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না।।


তৃতীয় উপায়


কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্ত্রী প্রতারক বিয়ের পরে জানতে পারবেন আপনি। ততক্ষণে আপনার টাকা ও গয়না নিয়ে চম্পট দেবে ঠগরা। এই ক্ষেত্রে মেয়েদের সংখ্যাই বেশি। 


চতুর্থ উপায়


এমনও দেখা গেছে, ঠগরা অনলাইনে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে হোটেলে ডেকে পাঠাবে। আপনাকে অজ্ঞান করে অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেও পিছুপা হবে না এরা।


কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে


আপনি যদি এই ধরনের প্রতারণা এড়াতে চান, তবে আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিচে আমরা কিছু টিপস দিচ্ছি যা আপনার অনুসরণ করা উচিত।
১ ম্যাট্রিমোনিয়াল ওয়েবসাইটে যদি কারও সাথে বন্ধুত্ব হয় ও তার সাথে চ্যাট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়, তাহলে চ্যাট করার সময় তাকে আপনার সব তথ্য দেবেন না। 
২ বিশেষ করে ব্যক্তিগত ও ব্যাঙ্কিং তথ্য দেওয়া এড়িয়ে চলুন। কথোপকথনে আপনার সামনের ব্যক্তি যদি আপনাকে অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করে, তাহলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে।


৩ আপনি যদি বিয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া সম্পর্ক থেকে প্রথমবার দেখা করতে যান তাহলে একা যাওয়া এড়ানো উচিত।


৪ সামনের ব্যক্তি যদি কথোপকথনের সময় কিছু অর্থ চান তবে তা অবিলম্বে এড়িয়ে চলুন।


৫ যদি সে ভিসা বা কাস্টমসের মতো বিষয়ে আটকে আছে বলে টাকা চায় তবে তা পুলিশকে জানান।