Cyber Scam: ভারতে সাইবার অপরাধীরা এখন আপনার ফোনে রাখা ই-সিমকার্ড বা ডিজিটাল সিমকার্ড ব্যবহার করে ফোন নম্বর হাতিয়ে নিচ্ছে, হাইজ্যাক করে নিচ্ছে আর কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Cyber Scam) খালি করে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় একজন ভুক্তভোগী ঠিক এভাবেই ই-সিম জালিয়াতির শিকার হয়ে ৪ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (e-SIM Fraud) থেকে। জালিয়াতিরা ফোন নম্বরের উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আর এভাবে ফোনে আসা ওটিপি আটকে দেয়, আর তা কাজে লাগিয়েই টাকা তুলে নেয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। ফলে এই জালিয়াতির শিকার হওয়া থেকে বাঁচতে কী করবেন আপনি ?

Continues below advertisement


কীভাবে হয় এই জালিয়াতি


ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের মতে স্ক্যামাররা প্রথমে একজন কোনও ব্যক্তিকে ফোন করেন এবং তারপর তাঁকে ই-সিম সক্রিয়করণের জন্য একটি জাল লিঙ্ক পাঠান। একজন ব্যক্তি এই লিঙ্কে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই তার আসল সিমটি ই-সিমে রূপান্তরিত হয়ে যায়। এরপরেই আসল সিমের সিগনাল হারিয়ে যায় এবং ব্যবহারকারী কল বা মেসেজ কিছুই পান না। এই প্রক্রিয়ার পরে ব্যাঙ্কিং সম্পর্কিত সমস্ত ওটিপি ও মেসেজ জালিয়াতদের ডিভাইসে যেতে শুরু করে। এভাবেই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা। হাতে ওটিপি পেলে তারা সহজেই ফিজিক্যাল সিমকার্ড ছাড়াই পাসওয়ার্ড বদলাতে পারেন, লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।


কেন এটি বিপজ্জনক


ই-সিম প্রযুক্তি মূলত গ্রাহকদের সুবিধের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু একই নমনীয়তা প্রতারকদের জন্য আপনার ডিজিটাল পরিচয় আর আর্থিক ক্ষেত্রে দ্রুত প্রবেশের সুযোগ করে দেয়। এমনকী যারা ইউপিআই বা এটিএম পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তারাও এই নম্বর হ্যাক হয়ে গেলে নিরাপদ নন। ই-সিম সম্পর্কিত বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে বলা হয়েছে যে এই ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের এটিএম কার্ড নিষ্ক্রিয় করার পরেও বা ইউপিআই অ্যাকাউন্ট ব্লক করার পরেও প্রতারকদের কাছে ওটিপি চলে আসে এবং তারা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিতে পারে। এই কারণেই এই জালিয়াতির ব্যাপারে সমস্ত সংস্থা ও অংশীদারদের কাছে একটি পরামর্শ জারি করা হয়েছে।


ই-সিম জালিয়াতি এড়াতে ব্যবহারকারীদের জন্য I4C বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে। I4C জানিয়েছে কোনও সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে এড়িয়ে চলতে হবে। এছাড়াও ই-সিম রূপান্তরের জন্য শুধুমাত্র আপনার টেলিকম সংস্থার অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে হবে।


ই-সিমের থেকে কি ফিজিক্যাল সিম ভাল ?


স্পষ্ট করে বলা যায় না। কারণ ফিজিক্যাল সিম কার্ডও জালিয়াতির হাত থেকে মুক্ত নয়। সিম সোয়্যাপ স্ক্যাম বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। পার্থক্য হল ই-সিম জালিয়াতি দ্রুত ঘটতে পারে। কারণ এর জন্য কোনও দোকানে যাওয়া বা চিপ বদল করার প্রয়োজন হয় না। কিছু গ্রাহক ফিজিক্যাল সিম ব্যবহার করা নিরাপদ মনে করেন। কারণ টেলিকম সংস্থাগুলি সাধারণত সোয়াপের জন্য ব্যক্তিগতভাবে যাচাইকরণ দাবি করে। আর তারপরে ই-সিম জালিয়াতির ক্ষেত্রে সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে একটি সন্দেহজনক লিঙ্ক তৈরি করে সেখানে ক্লিক করতে প্ররোচিত করা হয় ব্যক্তিকে।