কলকাতা: কীভাবে পাসপোর্ট নেবেন সেটা আগে ভেবে নিতে হবে। খুব দ্রুত পাসপোর্ট হাতে পেতে চাইলে তৎকাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নয়তো সাধারণ পদ্ধতিতেই আবেদন করা যায়। তৎকাল পদ্ধতিতে খরচ কিছুটা বেশি পড়ে। 


কী কী নথি রাখবেন?
প্রথমেই প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করুন: ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার জন্য আপনার কিছু নথির প্রয়োজন হবে। যেগুলো সাধারণত লাগে সেগুলি হল ঠিকানার প্রমাণ (যেমন ইলেকট্রিক বিল, ভাড়ার কোনও চুক্তি বা আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স), জন্ম তারিখের প্রমাণ (জন্ম শংসাপত্র, স্কুল পাশের শংসাপত্র, মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড), সচিত্র পরিচয়ের প্রমাণ (আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স)। প্রয়োজনে আরও কিছু কিছু নথি চাইতে পারে সংশ্লিষ্ট দফতর। যেমন বিয়ের শংসাপত্র বা বিবাহবিচ্ছেদের ডিক্রি।


অনলাইনেই পাসপোর্টের জন্য় আবেদন করা যায়। ভারতের পাসপোর্ট সেবা পোর্টালের ওয়েবসাইট https://portal2.passportindia.gov.in/ - এখানে যেতে পারেন। যা যা তথ্য লাগে সেগুলি দিয়ে, নাম দিয়ে, পাসওয়ার্ড তৈরি করে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।


অনলাইনেই ফর্ম ফিল-আপ:
এরপরে সদ্য তৈরি অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে পাসপোর্টের আবেদনপত্র ঠিকমতো পূরণ করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যক্তিগত বিবরণ, ঠিকানা তথ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। যে যে তথ্য দিচ্ছেন তার সমর্থনে নথিও আপলোড করতে হবে। আবেদনপত্রে দেওয়া সব নথির স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে ওই স্ক্যান করা কপি পরিষ্কার থাকে এবং স্পষ্ট করে সেটা পড়া যায়।


অনলাইনেই ফি:
পাসপোর্ট আবেদন করলে সেই প্রক্রিয়ার জন্য় ফি দিতে হয়। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরে অনলাইনেরই সেই ফি দেওয়া যাবে। পাসপোর্টের ধরন এবং তাতে কতগুলো পৃষ্ঠা থাকবে তার উপর ভিত্তি করে ফি নির্ধারিত হয়। 


ফি দেওয়া হয়ে গেলে আপনার সবচেয়ে কাছের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র (PSK) বা পাসপোর্ট অফিসে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করতে হবে। এর জন্য আপনাকে অনলাইনেই আপনাকে স্লট বুক করতে হতে পারে। একবারের চেষ্টায় স্লট না পেলে পরে আবার চেষ্টা করুন, পেয়ে যাবেন। স্লট বুকিংয়ের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য একটি সুবিধাজনক তারিখ এবং সময় বেছে নিতে হবে। স্লট বুকিংয়ের সময়েই আপনাকে অপশন দেওয়া হবে।


সেই নির্দিষ্ট তারিখেই আবেদনপত্র ও নথি যাচাইয়ের জন্য পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে যেতে হবে। সেখানে সব আসল নথি সঙ্গে রাখতে হবে। তারসঙ্গে আবেদনপত্রের প্রিন্টআউট, ফি দেওয়ার রসিদ এবং স্লট বুকিংয়ের নথি সঙ্গে রাখুন।


পাসপোর্ট অফিসে ধাপে ধাপে আবেদনকারীর আঙুলের ছাপ এবং ছবি-সহ বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ করা হবে। তারপর নথি পরীক্ষা এবং সবশেষে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার কিছু প্রশ্ন করতে পারেন। এই গোটা প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর গোটা প্রক্রিয়াটি যাচাই করা হবে। একাধিক সরকারি ধাপ শেষ করার পরে পাসপোর্ট তৈরিতে অনুমোদন মিললে সেটা প্রিন্ট হয়ে আবেদনকারীর ঠিকানায় চলে আসবে। 


পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয়ে থাকে। সবচেয়ে নিখুঁত তথ্যের জন্য় আবেদন করার আগে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন বা সরকারি ওয়েবসাইট দেখে নিতে পারেন।


আরও পড়ুন: জীবনজুড়ে জঙ্গল, কলমজুড়ে প্রেম! টপ্পায় বুঁদ করতেন 'ঋজুদা' বুদ্ধদেব