PAN Card Scam: প্যান বা পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর ভারতের নাগরিকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক নথি। নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের আয়কর রিটার্ন ফাইলিং এবং আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশনের জন্য এই প্যান কার্ড ব্যবহার করা হয়। ভারতে যখন কেউ ১০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি কেনেন বা উচ্চমূল্যের লেনদেন করেন তখন প্যানের প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। আর এই নথি চুরি করে ব্যক্তির পরিচয় হাতিয়ে ঋণ তুলে নেওয়ার অবৈধ কাজ করেন কিছু জালিয়াত প্রতারকরা। এই প্যান নম্বরের মাধ্যমে প্রতারকরা অননুমোদিত ঋণ তুলে নেন কোনও ব্যক্তির নামে। কিন্তু খুব সহজ উপায়ে ঘরে বসেই জানা যায় যে আপনার নামে অজান্তেই কেউ ঋণ তুলে নিয়েছে কিনা।
এই অবৈধভাবে ঋণ তুলে নেওয়ার কারণে ব্যক্তির ক্রেডিট স্কোর খারাপ হতে পারে, এর ফলে প্রয়োজনের সময় ঋণ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে সেই ব্যক্তির পক্ষে। ফলে আপনার প্যান কার্ডের মাধ্যমে কোনও অযাচিত ঋণ নেওয়া হয়েছে কিনা তা যাচাই করে নেওয়া জরুরি। নাহলে ভবিষ্যতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে আপনাকে।
প্রথম পদ্ধতি
CIBIL, Equifax, Experian, CRIF High Mark ইত্যাদি ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে নিজের তথ্যাদি দিয়ে লগ ইন করতে হবে প্রথমে। এর জন্য আপনার প্যান নম্বর, মোবাইল নম্বর দরকার। এরপরে ফ্রি অ্যানুয়াল রিপোর্ট ডাউনলোড করে নিতে হবে আর এই রিপোর্টেই দেখা যাবে যে আপনার প্যান নম্বরের অধীনে কোনও অবৈধ অপিরিচিত ঋণ মঞ্জুর হয়েছে কিনা।
দ্বিতীয় পদ্ধতি
কোনও ফিনটেক অ্যাপের মাধ্যমেও এই যাচাইকরণ ঘরে বসে সহজেই করা যায়। আপনি কোনও বিশ্বাসযোগ্য ফিনটেক অ্যাপ ডাউনলোড করে নিন সবার আগে আপনার ফোনে। প্যান নম্বর ও ওটিপি দিয়ে যাচাই করে নিন। এরপরে সেই অ্যাপের ‘লোন’ বা ‘ক্রেডিট হেলথ’ সেকশনে যান। এখানেই দেখা যাবে আপনার নামে কোনও অবৈধ ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছে কিনা।
এই বছর জুন মাসেই প্যান কার্ড নিয়ে একটি জালিয়াতিমূলক মেসেজের সত্য প্রকাশ করেছিল প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো। অনেকের ফোনেই জালিয়াতরা মেসেজ পাঠাচ্ছিল যে তাদের প্যান কার্ড আপডেট না করলে পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। তবে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো জানিয়েছিল যে এই বার্তা সম্পূর্ণ ভুয়ো। পোস্ট পেমেন্টস ব্যাঙ্কের তরফেও জানানো হয়েছিল যে ভুয়ো কাস্টমার কেয়ার নম্বর থেকে ফোন করে প্রতারণা করা হয় অনেক সময়। ফলে সতর্কতা জরুরি।