কলকাতা: শুধু বিনিয়োগ নয়, জীবন ও পরিবারের সুরক্ষার জন্য় খুবই গুরুত্বপূর্ণ জীবনবিমা। কখনও এককালীন বিনিয়োগ কখনও মাসিক বা ত্রৈমাসিক বিনিয়োগে মাধ্যমে বিমার প্রিমিয়াম দেওয়া যায়।
এই বিনিয়োগ সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি হয়ে থাকে। ফলে অনেকসময়েই নানা কারণে পুরো সময়ের জন্য প্রিমিয়াম দেওয়া সম্ভব হয় না। যদি কখনও আর্থিক অসুবিধা বা অন্য কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে বন্ধ করে দিতে হয় বিমা।
এটাকেই বলা হয় পলিসি সারেন্ডার করা। ভারতে জীবনবিমা ক্ষেত্রের সবচেয়ে বড় সংস্থা হচ্ছে LICI. পলিসি হোল্ডারদের পলিসি সারেন্ডার করার সুবিধা দেয় LICI. যদিও পলিসি সারেন্ডার করার বিষয়টি বেশ কিছুটা শর্ত মেনে তবেই করা যায়।
সাধারণত দশ বছর বা তার কম সময়ের বিমা হলে ২ বছরের মাথায় সারেন্ডার করা যায়। দশ বছরের বেশি হলে ৩ বছরের পরে সারেন্ডার করা যায় পলিসি। তবে পলিসি সারেন্ডার করলে, প্রিমিয়াম যা দেওয়া হয়েছে সেই হাতে তুলনায় খুবই কম টাকা আসে।
কীভাবে সারেন্ডার করা যায়?
ম্যাচুরিটি ডেটের অনেক আগেই পলিসি সারেন্ডার করতে গেলে অনলাইন বা অফলাইন ভাবেই করা যায়।
প্রথমে এলআইসি-এর কোনও ব্রাঞ্চ অফিসে যেতে হবে অথবা এলআইসি-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে।
Surrender Discharge Voucher বা LIC Form No. 5074 নিতে হবে। সেটা অনলাইনেও পাওয়া যায়।
বিমা পলিসি সারেন্ডার করতে এবং জমা অর্থ ফেরত পেতে ঠিকমতো এই ফর্ম ভরতে হবে। সমস্ত তথ্য ঠিকমতো দিতে হবে।
এই ফর্ম ভরে সব নথি দিয়ে জমা করতে হবে এলআইসি অফিসেই
যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সবুজ সঙ্কেত দিলে পলিসি সারেন্ডারের প্রসেস শুরু হয়।
তারপরেই মোট সঞ্চিত অর্থ যা ফেরতযোগ্য তা সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়। যতদিন প্রিমিয়াম দেওয়া হয়েছে তার উপর নির্ভর করে কত টাকা ফেরত দেওয়া যাবে।
কী কী নথি লাগবে?
LIC পলিসির শংসাপত্র লাগবে
LIC সারেন্ডার ফর্ম প্রয়োজন
সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ক্যানসেলড চেক
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য
LIC NEFT ম্যান্ডেট ফর্ম
কেন সারেন্ডার করা হচ্ছে, সেই কারণ দেখিয়ে একটি চিঠি
মনে রাখতে হবে পলিসি সারেন্ডার করে দিলেই জীবনবিমার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা হারাতে হবে। পরে সেই পলিসি আর কখনও চালু করা যাবে না। প্রয়োজনে ফের প্রথম থেকে নতুন করে পলিসি করতে হবে।
আরও পড়ুন: কবে জমা হবে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদ? জানিয়ে দিল EPFO