Bank Account Transactions: চাকরি করেন বা ব্যবসা করেন? ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট (Bank Account) তো নিশ্চিত রয়েছে। চাকরি করলে স্যালারি অ্যাকাউন্ট ছাড়াও একটি আলাদা সেভিংস অ্যাকাউন্ট তো থাকেই। আর ব্যবসা করলেও কারেন্ট অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সঙ্গে একটা সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকে। স্যালারি হোক বা ব্যবসার মুনাফা, আপনার নিজের টাকা বলে যতখুশি টাকা এক লপ্তে ব্যাঙ্কে জমা করা যায় না, একথা জানেন কী? আর যদি সে কাজ করে থাকেন আপনার ব্যাঙ্ক লেনদেন নজর কাড়তে পারে আয়কর বিভাগের (Income Tax)। ভুলেও এই ধরনের লেনদেন করবেন না।


ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোটা ক্যাশ জমা


সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT)-র নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি যদি তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ বা তার বেশি পরিমাণ টাকা একটি অর্থবর্ষে ক্যাশে জমা করেন, সেক্ষেত্রে আয়করের নোটিশ পেতেই পারেন সেই ব্যক্তি।


ভাবছেন একটা অ্যাকাউন্টের বদলে দু-তিনটে অ্যাকাউন্টে ভেঙে জমা করে দেবেন, সমস্যা তাতেও কিছু কম হবে না। কারণ একই ব্যক্তির নামে খোলা সব অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।


ক্যাশ দিয়ে ফিক্সড ডিপোজিট


সেভিংস অ্যাকাউন্টের মতই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের (Bank Account) ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকরী হয়। একটি অর্থবর্ষে যদি কোনও ব্যক্তি ১০ লক্ষ বা তার বেশি টাকা ক্যাশ জমা করে ফিক্সড ডিপোজিট করেন, সেক্ষেত্রেও একইভাবে আপনাকে আয়কর সেই টাকার উৎস জানতে চাইতে পারে।


শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড বা বন্ড কেনা


উপরোক্ত দুই ক্ষেত্রের মত কোনও ব্যক্তি যদি ১০ লক্ষ বা তার বেশি টাকা দিয়ে শেয়ার কেনেন বা এই ধরনের বিনিয়োগ করেন, তা নজরে আসতে পারে আয়কর দফতরের।


বাড়ি-জমি কেনা


Money Laundering Act, 2002 –এর ১২ নং ধারা অনুসারে বলা হয়েছে কোনও ব্যক্তি যদি ৩০ লক্ষ বা তার বেশি টাকা ক্যাশে দিয়ে কোনও বাড়ি কেনেন বা বাড়ি বিক্রি করে ঐ পরিমাণ টাকার লেনদেন করেন ক্যাশে, আয়কর বিভাগের (Income Tax Department) থেকে তিনি নোটিশ পেতে পারেন।


বিদেশি মুদ্রার লেনদেন


ক্যাশ ডিপোজিটের মত এক্ষেত্রেও নিয়মটি একই। ১০ লক্ষ টাকার সীমা পেরোলেই আয়করের নজরে আপনি।


ক্রেডিট কার্ডের বিল


আজকাল অনেকেই ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) ব্যবহার করেন। ৪৫ দিনের সময়ের মধ্যে বিনা সুদে আপনি সেই টাকা ফেরত দিয়ে পারেন সহজেই। ক্রেডিট কার্ড সংস্থা নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিল পাঠায় গ্রাহককে। সেই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে গিয়ে যদি আপনার মাসিক বিল ১ লক্ষ টাকার বেশি হয়, এমনকী আপনি যদি সেই টাকা ক্যাশে তুলতে চান, নিশ্চিতভাবে আয়কর দফতর এ ব্যাপারে তদন্ত করবে। আবার কোনও অর্থবর্ষে যদি ক্রেডিট কার্ডে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করেন বা তার বেশিও জমা করেন, সেক্ষেত্রেও সাবধান।


আরও পড়ুন: Pan Card: প্যান কার্ডে নামে ভুল, ঘরে বসেই ঠিক করুন এভাবে