কলকাতা: ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩১ জুলাই। বিভিন্ন কারণেই আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রয়োজন রয়েছে। রিটার্ন দাখিল করার জন্য বেশ কিছু নথির প্রয়োজন হয়। অনলাইনে রিটার্ন ফাইল করতে বসার আগে থেকেই বেশ কিছু নথি হাতের কাছে রাখা প্রয়োজন। ফর্ম ১৬ থেকে প্যান কার্ড নানা নথি প্রয়োজন হয়। সেই তালিকায় কী কী আছে?


PAN:
আয়কর দফতর থেকেই প্যান কার্ড দেওয়া হয়।  আয়কর রিটার্ন দাখিল করার জন্য প্যান কার্ড লাগবেই।


Form 16:
চাকরিজীবী বা বেতনভুক ব্যক্তি হলে Form 16 অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি নথি। যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন কোনও ব্যক্তি, তাঁকে সেই প্রতিষ্ঠান থেকেই Form 16 দেওয়া হয়। এখানে ওই ব্যক্তির বেতনের ব্রেক-আপ, ট্যাক্স ডিডাকশন-সহ সব তথ্যই থাকে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই Form 16 দেওয়া বাধ্যতামূলক। আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় এই নথি থেকে যাবতীয় তথ্য ব্যবহার করতে পারবেন ওই চাকরিজীবী। 


Form 16-এর দুটি ভাগ থাকে।  PART A এবং PART B.  PART A-তে কর কেটে নেওয়ার তথ্য থাকে। PAN নম্বর এবং প্রতিষ্ঠানের TAN থাকে। PART B-তে বেতনের ভাগগুলি স্পষ্ট করে লেখা থাকে। 


ব্যাঙ্ক-পোস্ট অফিসের সুদের শংসাপত্র:
ব্যাঙ্ক এবং পোস্ট অফিসের FD ও রেকারিং ডিপোজিটের সুদের উপর কর বসে।  বিভিন্ন উৎস থেকে যে যে সুদ পাওয়া গিয়েছে, তার সামগ্রিক তথ্য দিতে হবে। ফলে সেই আর্থিক বছরে ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিস থেকে কত সুদ মিলেছে তার শংসাপত্র নিতে লাগবে। 


FORM 16A এবং TDS শংসাপত্র:
বেতনভুকদের টিডিএস সার্টিফিকেট নিয়ে রাখতে হবে যদি তাঁরা এই সেকশনে পড়েন। ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে রাখা স্থায়ী আমানত বা FD-এ থেকে এক আর্থিক বছরে ৪০০০০ -টাকার বেশি সুদ (৫০০০০ হাজার টাকা ষাটোর্ধ্বদের জন্য) পেলে তার উপর কর বসে। সেই সুদের জন্য শংসাপত্র জোগাড় করতে হয়। ব্যাঙ্ক থেকে ওই গ্রাহককে FORM 16A দেওয়া হয়। কেউ জমি বা স্থায়ী সম্পত্তি বেচলে ক্রেতাদের কাছ থেকে FORM 16B নিয়ে নেবেন। কেউ সম্পত্তি ভাড়া দিয়ে মাসে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি পেলে তাঁকে ভাড়াটের কাছ থেকে TDS সার্টিফিকেট নিতে হবে।


AIS:
২০২১ সালে এসেছে AIS বা Annual Information Statement. এক ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট আর্থিক বছরে যাবতীয় যা লেনদেন করেছেন, তার তথ্য থাকবে এখানে। 


মূলধনী লাভ:
শেয়ার, ডিবেঞ্চার, সম্পত্তিতে এক লক্ষ টাকার বেশি লাভ হলে তা মূলধনী লাভ বা Capital Gains -এর আওতায় পড়ে। কোথায় বিনিয়োগ তার উপর নির্ভর করে কর কত হবে। আয়কর দাখিলের ক্ষেত্রে এই তথ্য দিতে হবে।


বিদেশে থাকা সম্পত্তি:
বিদেশে কোনও সম্পত্তি থাকলে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকলে তার তথ্য আয়কর দাখিলের সময় দিতে হবে।


আধার কার্ড:
১৯৬১ সালের আয়কর আইনের 139AA-এ অনুযায়ী আয়কর দাখিলের সময় আধার নম্বর দিতে হবে। যদি আয়কর দাখিলের সময় আধার না থাকে, তাহলে আধার আবেদনের এনরোলমেন্ট ID দিতে হবে। e-verify করার সময়ে আধার লাগবে।


ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য:
আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে হবে। ব্যাঙ্কের নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর, IFSC কোড দিতে হবে। কোনও রিফান্ড পেলে যে অ্য়াকাউন্টে ঢুকবে, সেই অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে হবে আয়কর দাখিলের সময়।   


আয়কর ফাইল করার সময় বিভিন্ন ডিডাকশন স্কিমের অধীনে কর ছাড় পেতে গেলে, সংশ্লিষ্ট ফর্ম এবং শংসাপত্র।


আরও পড়ুন: মাথার উপর ছিল না ছাদ, অভাব নিত্যসঙ্গী, IAS অফিসার অনিল বসাকের অজানা কাহিনি