ITR Filing: চাকরিজীবী সমস্ত ব্যক্তিদেরকেই সময়ে সময়ে কর জমা করার একটা গুরুদায়িত্ব থাকে। সময়ের মধ্যে কর জমা না করতে পারলে জরিমানাও দিতে হয়। এমনকী কর জমা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হয়। আয়কর রিটার্ন (Income Tax) জমা দেওয়ার জন্য শেষ সময় ৩১ জুলাই। আর বেশি দেরি নেই। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করদাতাদের টাক্স রিটার্ন (ITR Filing) ফাইল করে ফেলা জরুরি। এজন্য প্রয়োজনীয় নথি, ফর্ম ও তথ্য খুঁজে রাখতে হবে আগে থেকেই।


সুতরাং আইটিআর (ITR Filing) ফাইল করার জন্য প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি সম্পর্কে করদাতাদের একটি স্বচ্ছ্ব ধারণা থাকা দরকার যাতে কর জমার প্রক্রিয়ায় কোনও রকম বাধা বিপত্তি না হয়। তবে এই কর জমা করার ক্ষেত্রে মনে রাখবেন যাতে আপনার আধার কার্ডের সঙ্গে প্যান কার্ড লিঙ্ক হয়ে গিয়ে থাকে। আপনি যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রিফান্ডের টাকা ফেরত পেতে চান, সেই অ্যাকাউন্টের তথ্যও যাচাই করে নেওয়া দরকার।


সঠিক ফর্ম বেছে নিন


রিটার্ন ফাইল করার আগে নিশ্চিত করুন যে আপনি সঠিক ফর্মটি বেছে নিয়েছেন। ভুল ফর্ম বেছে নিয়ে রিটার্ন ফাইল করলে আপনার আইটিআর (ITR Filing) ত্রুটিপূর্ণ বলে ধরে নেওয়া হবে এবং আবার নতুন করে সঠিক ফর্মের সঙ্গে এই আইটিআর রিটার্ন জমা করতে হবে। বেতনভুক কর্মী হলে আপনার জন্য আইটিআর ১ ফর্মটিই উপযুক্ত।


আইটিআর ১ কী


যে সমস্ত ব্যক্তি নাগরিকের বার্ষিক আয় ৫০ লাখের কম, তাঁদের জন্য কর জমার ক্ষেত্রে এই ফর্ম পূরণ করতে হয়। এই ব্যক্তির আয় হতে হবে বেতন থেকে, একটি বাড়ি থেকে, পরিবারের পেনশন থেকে এবং বার্ষিক ৫০০০ টাকা পর্যন্ত কৃষিকাজ থেকে, এছাড়া সেভিংস অ্যাকাউন্ট ও অন্যান্য ডিপোজিট থেকে সুদের মাধ্যমে আয় আসতে হবে ব্যক্তির।


কাদের জন্য আইটিআর ১ নয়


প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য


যাদের আয় বছরে ৫০ লাখের বেশি তাঁদের জন্য।


লটারি, রেসকোর্স কিংবা জুয়া খেলে আয় হলে।


শর্ট টার্ম বা লং টার্ম করযোগ্য আয় হলে।


আনলিস্টেড ইকুইটি শেয়ারে বিনিয়োগ থাকলে।


একের বেশি বাড়ি থেকে আয় হলে।


কী কী নথি গুরুত্বপূর্ণ


প্রথমেই ডাউনলোড করে নিতে হবে অ্যানুয়াল ইনফরমেশন স্টেটমেন্ট, ফর্ম ১৬-র কপি, বাড়ি ভাড়ার রিসিপ্ট, যদি কোনও বিনিয়োগের প্রিমিয়াম দেওয়া হয় তাঁর রিসিপ্ট সঙ্গে রাখতে হবে আয়কর (Income Tax) জমা দেওয়ার সময়। তবে করদাতাদের কোনও নথি জুড়ে দিতে হয় না রিটার্ন ফাইলিংয়ের সময়, প্রয়োজন লাগলে দিতে হবে।


কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে


প্রথমেই AIS এবং ফর্ম 26AS ডাউনলোড করে দেখে নিতে হবে আসল টিডিএসের অঙ্কটা ঠিক কী। এতে কোনও ভুল থাকলে তা সংশোধন করে নিতে হবে।


ভাল করে সমস্ত নথি দেখে নিতে হবে। ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, ইন্টারেস্ট সার্টিফিকেট, কর ছাড় দাবির জন্য আবেদন, ফর্ম ১৬, ফর্ম ২৬এএস, বিনিয়োগের প্রমাণ ইত্যাদি নথি ভাল করে পরীক্ষা করে নিতে হবে।


প্রি-ফিলড ডেটাতে যে প্যান নম্বর, পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস, ফোন নম্বর ইত্যাদি তথ্য দেওয়া আছে তা ঠিক কিনা দেখে নেওয়া জরুরি।


ই-ভেরিফাই করিয়ে নিতে হবে। রিটার্ন ই-ফাইলিং করার পর তা ই-ভেরিফাই করিয়ে নেওয়া জরুরি। তবে এই ভেরিফিকেশন ম্যানুয়ালিও করা যায়। সেক্ষেত্রে আইটিআর ৫ অ্যাকনলেজমেন্ট ডাউনলোড করে বেঙ্গালুরুতে আয়কর দফতরের ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠাতে হবে।  


আরও পড়ুন: Small Saving Scheme: এইসব প্রকল্পে বিনিয়োগে পাবেন নিশ্চিত রিটার্ন, বছরে আসবে ৮.২ শতাংশ পর্যন্ত সুদ