Insurance Policy Review: জীবনবিমা নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেক সময়েই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থার হাজারও পলিসি দেখে বুঝতে পারা যায় না কোনটা ভাল, কোনটা আপনার জন্য উপযুক্ত। ফলে তাড়াহুড়ো করে একটা কোনও পলিসি নিয়ে ফেলেন অনেকেই, পরে গিয়ে তাতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তবে এই পলিসি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি ফ্রি লুক পিরিয়ড দেওয়া হয়, এর মধ্যে আপনি চাইলে পলিসি বাতিলও করতে পারেন এবং তাতে আপনার আমানতের পুরো টাকাটাই ফেরত পাবেন আপনি।


এবার ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (IRDAI) সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে যে, সমস্ত ইনসিওরেন্স পলিসিগুলির রিভিউ পিরিয়ড বা ফ্রি-লুক পিরিয়ডের মেয়াদ বাড়ান হবে। ১৫ দিন থেকে বাড়িয়ে করা হবে ৩০ দিন।


ফ্রি-লুক পিরিয়ড কী


ফ্রি লুক পিরিয়ডের মধ্যে কেউ চাইলে তাঁর নেওয়া পলিসি বাতিল করতে পারেন। অর্থাৎ সমস্ত পলিসি হোল্ডারদের জন্য যে কোনও বিমা সংস্থাই একটি ফ্রি লুক পিরিয়ড দেয় যাতে পলিসি নিয়ে অসন্তুষ্ট হলে তাঁরা তা বাতিল করতে পারেন। এক্ষেত্রে রিফান্ড হয়ে যায় প্রিমিয়ামের সব টাকা।


কী বদল আসছে ?


২০২৪ সালের IRDAI-এর খসড়া অনুসারে এই পলিসির ফ্রি-লুক পিরিয়ডেই বদল আসতে চলেছে। এতদিন পর্যন্ত যে মেয়াদটা ১৫ দিন ছিল, এবার সেই মেয়াদ বেড়ে হতে চলেছে ৩০ দিন। যদি এই খসড়াই চূড়ান্ত বলে স্বীকৃত হয়, সেক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক ফর্মেও এই পলিসি নির্বাচন বা বাতিলের আবেদন প্রক্রিয়া চালু করার কথাও ভাবা হবে বলে জানা গিয়েছে।


IRDAI জানিয়েছে যে, ১০০ টাকার বেশি সাম ইনসিওরড হলে বা বার্ষিক প্রিমিয়াম ১০ টাকার বেশি হলে সেই পলিসি ইলেকট্রনিক ফর্ম আলাদা করে জারি করা আবশ্যক। ফ্রি-লুক পিরিয়ড বাড়ানোর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক ইস্যু করার সময় পলিসি হোল্ডারদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদে বিবরণ সংগ্রহ করার প্রস্তাবও জানিয়েছে IRDAI। পলিসি বাতিল করলে সেই পলিসির সমস্ত টাকা ফেরত দেবার জন্য কিংবা ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার করার জন্য সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দরকার হয়।


কীভাবে পলিসি বাতিল করা যায় ফ্রি-লুক পিরিয়ডে ?


ফ্রি-লুক পিরিয়ড থাকার সময় কোনও পলিসি হোল্ডার চাইলে লিখিত আবেদনের মাধ্যমে পলিসি বাতিল করতে পারেন। এক্ষেত্রে এজেন্টের তথ্য, কবে পলিসি নেওয়া হয়েছিল সেই তারিখ অর্থাৎ কবে পলিসির কাগজ হাতে এসেছে সেই তারিখ, কেন বাতিল করতে চাইছেন সেই কারণ উল্লেখ করতে হবে।


আরও পড়ুন: Home Loan: বাড়ির জন্য ঋণ নেবেন ? এই কাজ করলে কমবে সুদের হার