NPS Scheme: NPS অর্থাৎ ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম এমনই একটি স্কিম, যা আপনাকে একটি সরকারি অবসর প্রকল্পের সুবিধা দেয়। এটি কেন্দ্রীয় সরকার ১ জানুয়ারি ২০০৪-তে শুরু করেছিল। NPS চালু করা হয়েছিল সরকারি কর্মচারীদের জন্য (সশস্ত্র বাহিনী ছাড়া)। পরে বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য এই স্কিম খুলে দেওয়া হয়। এতে বিনিয়োগের পাশাপাশি আপনি কর ছাড়ের সুবিধাও নিতে পারেন। আর দু-তিন মাস পরেই শুরু হয়ে যাবে কর জমা করার প্রক্রিয়া, তার আগে জেনে নিন কীভাবে NPS-এর মাধ্যমে কর বাঁচাতে পারেন আপনিও।


কর ছাড়ের সুবিধা


NPS-এ বিনিয়োগ করলে আপনি আয়কর আইনের 80C ধারার অধীনে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন আপনি। তবে আপনি নিজে যদি বিনিয়োগ না করে আপনার কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করেন তবে আরও বেশি ছাড় পাওয়া যাবে। কীভাবে জানেন কি?


অতিরিক্ত আরও ২ লক্ষ ছাড়ের সুবিধে


NPS-এ বিনিয়োগ করলে আয়কর আইনের 80CCD ধারার অধীনে আরও কর ছাড় পাওয়া যায়। এই ধারার আবার দুটি উপধারা রয়েছে - 80CCD(1) এবং 80CCD(2)। আয়কর আইন বলছে, 80CCD (1) ধারার অধীনে আপনি যদি NPS-এ বিনিয়োগ করেন, তবে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন। আর অন্যদিকে 80CCD (1B)-এর অধীনে অতিরিক্ত আরও ৫০ হাজার টাকার কর ছাড়ের সুবিধে রয়েছে। এই ২ লক্ষ টাকার কর ছাড়ের পাশাপাশি 80CCD(2) ধারাতেও আপনি কর ছাড়ের দাবি করতে পারেন।


কীভাবে পাবেন অতিরিক্ত কর ছাড়ের সুবিধে ?



  • মূলত এক্ষেত্রে কর ছাড়ের দাবি আপনি নিজে নয়, বরং আপনার সংস্থা জানাতে পারবে আপনার জন্য।

  • আপনি আপনার বেতন এবং মহার্ঘভাতার ১০ শতাংশ NPS-এ বিনিয়োগ করতে পারেন।

  • তবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ক্ষেত্রে তাঁরা সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। এই বিনিয়োগের উপর কোনও কর দিতে হয় না তাঁদের।

  • বেশিরভাগ সংস্থাই NPS-এ বিনিয়োগের সুবিধে দেয়, তবে এ বিষয়ে সংস্থার সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন আপনি।


মনে রাখতে হবে


টায়ার ১ অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই এই কর ছাড়ের সুবিধে পাওয়া যাবে। টায়ার ২ অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই ছাড় পাওয়া যাবে না।


দীর্ঘ মেয়াদের কথা মাথায় রেখে এনপিএস-এ বিনিয়োগ করা উচিত। এনপিএস-এর মূল উদ্দেশ্য হল ব্যক্তিদের একটি অবসরকালীন তহবিল ও প্রতি মাসে আয়ের একটি নির্দিষ্ট উৎস তৈরি করতে সাহায্য করা। ভারতের যে কোনও নাগরিক এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে, তাঁর বয়স ১৮ বছরের বেশি হতে হবে। NPS-এর অধীনে, দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে - টায়ার ১ ও টায়ার ২। টায়ার ১-এ ন্যূনতম প্রাথমিক বিনিয়োগ ৫০০ টাকা।


আরও পড়ুন: SBI চালু করেছে বিশেষ এফডি স্কিম,জেনে নিন গ্রিন রুপি টার্ম ডিপোজিটের ১০ টি বিষয়