Govt Scheme: পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে মাসিক ১০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। ২০২১ সালে শুরু করা হয়েছিল এই বিশেষ প্রকল্প, তখন যদিও সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের জন্য মাসিক ৫০০ টাকা করে ভাতা (Mamata Banerjee) বরাদ্দ করা হয়েছিল। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১০০০ টাকা। আর এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar) নিয়েই গতকাল বীরভূমে একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস উপলক্ষ্যে বড় ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার সমস্ত মা-বোনেদের উদ্দেশ্যে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। ২৫ বছর বয়স থেকে শুরু করে এই প্রকল্পের টাকা আজীবন পাবেন সকলে।
এদিন বীরভূমে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, অন্য রাজ্যে এই সমস্ত প্রকল্পের ক্ষেত্রে অনেক ধরনের বিধিনিষেধ রয়েছে। বাড়িতে স্কুটি থাকলে প্রকল্পের টাকা পাওয়া যায় না, পাকা বাড়ি হলেও এই প্রকল্পের টাকা মেলে না। একমাত্র বাংলাতেই এই সমস্ত কোনও বাধা রাখা হয়নি। অন্য রাজ্যে যেখানে পরিবারের মাত্র একজন এই টাকা পান, সেখানে বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পরিবারের সমস্ত মহিলারা পান। ইতিমধ্যেই সারা বাংলায় ৯ লক্ষ ২৫ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পেয়ে থাকেন।
কী এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প
২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করতে পারেন।
সাধারণ শ্রেণিভুক্ত মহিলারা প্রতি মাসে পাবেন ১০০০ টাকা করে।
তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত হলে প্রতি মাসে ১২০০ টাকা করে পাবেন।
অর্থাৎ, জেনারেল ক্যাটেগরি হলে বছরে পাবেন ১২ হাজার টাকা আর তফসিলি জাতি ও জনজাতিভুক্ত হলে বছরে ১৪ হাজার ৪০০ টাকা।
কী যোগ্যতা
আবেদনকারী মহিলাকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
পরিবারের উর্ধ্বতন মহিলার নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায়।
আবেদনকারী মহিলা কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি কর্মী হলে হবে না, শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মী হলে হবে না, পৌরসভা বা কর্পোরেশনের কর্মী হলেও হবে না। এমনকী যারা নিয়মিত পেনশন পান, তারাও এই প্রকল্পের সুবিধে পাবেন না।
তবে সরকারি নিয়ম অনুসারে অন্য কোনও সরকারি প্রকল্পের আওতায় টাকা পেয়ে থাকলে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা পাবেন না আপনি।