কলকাতা: জীবনের অনিশ্চিত সময়ের জন্য গোড়া থেকেই মন দিতে হয় সঞ্চয়ের দিকে। রোজগার যাই থাকুক। তার থেকেই অল্প করে সঞ্চয় করতে হয়। সঞ্চয়ের কথা উঠলেই সবচেয়ে বেশি করে যে প্রশ্ন মনে আসে, তা হল কোথায় সঞ্চয় করা হবে। 


মাথায় রাখতে হয় আরও কিছু বিষয়। মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সঞ্চয়ের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। দীর্ঘদিন সঞ্চয়ের পর যে আমানত হাতে আসবে তা যেন সেই সময়ের বাজারের তুলনায় ভাল পরিমাণ হয় তা খেয়াল রাখতে হয়। অর্থাৎ রিটার্নের দিকটাও মাথায় রাখতে হয় সঞ্চয়ের সময়। অবসরের সময় কথা ভেবে এমন জায়গায় সঞ্চয় করা উচিত, যেখানে অবসরের পরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ হাতে আসে। এখানেই কাজে লাগতে পারে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (National Pension Scheme)। 


সরকারের একটি প্রকল্প রয়েছে, যেখানে সঞ্চয় করলে অবসরের সময় অনেকটাই নিশ্চিন্ত থাকা যাবে। নাগরিকদের সুবিধার জন্য পেনশন কিউমুলেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করেছে। এটি ইকুইটি লিঙ্কড (Equity Linked)। NPS- এমন একটি সুবিধা দেবে যার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি একটি সঞ্চয় এবং ভাল পরিমাণ রিটার্ন পাওয়া যাবে। 


ইকুইটি (Equity) এবং ডেবট ইনস্ট্রুমেন্ট (Debt Instrument) দুটিই এই প্ল্যানে ব্যবহার করা হয়। কেউ বছরে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করে ছাড় পেতে পারবেন NPS ব্যবহার করে। 


কত টাকায় কত লাভ?
৪০ বছর ধরে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে এই খাতে জমালে ১.৯১ কোটি টাকা পেতে পারেন আপনি। যদি ম্যাচুরিটি অ্যামাউন্ট আপনি বিনিয়োগ করেন, তাহলে মাসে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন আপনি। আগে উল্লেখ করা মাসিক পেনশনের রিটার্ন থেকে ১.৪৩ লক্ষ টাকা মিলবে। পাশাপাশি সিস্টেম্যাটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান (SWP) থেকে প্রতি মাসে ৬৩,৭৬৮ টাকা মিলতে পারে। যদি প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে ২০ বছর ধরে বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে ম্যাচুরিটির পরে এককালীন ১.২৭ কোটি টাকা পাবেন।  


NPS স্কিম আসলে কী?
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (NPS) হল একটি সরকারি পেনশন প্রকল্প। এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে আপনার টাকা ইক্যুইটি ও ডেট উভয় ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করা হয়। অবসর গ্রহণের পরে বড় অঙ্কের মাসিক পেনশন পেতে আপনার NPS স্কিমে বিনিয়োগ করা উচিত। এতে বিনিয়োগ করে আপনি বৃদ্ধ বয়সে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত পেনশন পেতে পারেন।


আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভায় চাকরির সুযোগ,এঁরা করতে পারবেন আবেদন