লটারির টিকিট কেটে ভাগ্য বদলে যাবে এমনটা বহু সাধারণ মানুষ ভেবে থাকেন, অনেকে ভাগ্য বদলানোর আশায় বহু টাকা খরচ করে লটারির টিকিটও কাটেন। ভাগ্য পরীক্ষার এক উন্মুক্ত ক্ষেত্র যেন লটারি, এক ধরনের জুয়াও বটে। তবে ভারত সহ বেশ কিছু দেশেই লটারি বৈধ বলে গণ্য হয়। এমনই ব্রিটেনে এক ব্যক্তি ১৬২টি লটারির টিকিট কেটে ৩০ হাজার পাউন্ড খরচ করে সোনা জিতেছেন এক ব্যক্তি। আর এই টিকিটগুলির সংখ্যা ছিল সবকটির ক্ষেত্রেই একই। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট নম্বর সেট মিলিয়েই তিনি ১৬২টি টিকিট কেনেন আর এর বিনিময়ে লটারিতে জেতেন ৮ লক্ষ ১১ হাজার পাউন্ড অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যা ৯.৬ কোটি টাকার সমান।
সাউথ ক্যারোলিনা এডুকেশন লটারির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই লটারির বিজেতা ব্যাখ্যা করেছিলেন যে তাঁর একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার সেটের উপরে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল। এই প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করার পরে এবং তাঁর সহজাত প্রবৃত্তির উপর আস্থা রাখার পরে তিনি বারবার একই বাজি ধরেছিলেন আর এই বাজি কাজে দিয়েছিল। এই সংখ্যার সেটটি হল ১-৭-৩-১। এই সংখ্যার সেটই নাকি তাঁর কাছে লাকি নম্বর ছিল। আর এই সেটের সংখ্যার প্রতি বাজি ধরেছিলেন সেই ব্যক্তি যা তাঁকে জয় এনে দিয়েছে।
ন্যাশনাল লটারি পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বেশ কয়েকজন বিজয়ীর স্বামী বা স্ত্রী তাদের জেতা টাকার পরিমাণ আগে থেকেই অনুমান করেছিলেন। এমনকী কেউ কেউ সঠিক পরিমাণও অনুমান করেছিলেন। এক ব্যক্তি জানিয়েছিলেন যে তাঁর স্ত্রী স্বপ্নে দেখেছিলেন যে তাঁকে একটি ১৪ নম্বর বল তাড়া করে ফিরছে আর তাই তিনি ১৪ নম্বরকে লাকি নম্বর মনে করে ১৪ নভেম্বর তারিখে লটারির টিকিট কেটেছিলেন এবং সেই লটারি জিতেওছিলেন।
তবে প্রতিটি গল্প এভাবে আশাব্যঞ্জক পরিণতি পায় না। এক ব্যক্তি ভেবেছিলেন যে তিনি জ্যাকপট জিতেছেন এবং ৫০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহের আশা করেছিলেন। কিন্তু তিনি আবিষ্কার করেন যে তাঁর পুরস্কারের পরিমাণ মাত্র ৬ পাউন্ড। এমনকী এই দোকানদারও সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে অনিশ্চিত ছিলেন এবং তাঁকে লটারি অপারেটর ক্যামেলটের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দেন যে এগুলি নিছক কাকতালীয় ঘটনা, এগুলি কোনও কৌশল নয়। লটারি জেতার কোনও নিশ্চিত পদ্ধতি নেই, তাই এই ঘটনাগুলিকে নিয়ম নয়, ব্যতিক্রম হিসেবেই দেখা উচিত।