Dafina Act: জমির নিচে, বাড়ির নিচে লুকিয়ে রাখা গুপ্তধনের কথা অনেকেই শুনেছেন, গল্পে এসব শুনে অনেকেই ভেবেছেন এমন যদি গুপ্তধন মিলত তাহলে জীবন অন্যরকম হতে পারত। অনেক ছবিতেও এমন দৃশ্য দেখানো হয়েছে যে এই গুপ্তধন (Treasure Right) পেয়ে কোনও ব্যক্তি রাতারাতি ধনী হয়ে গিয়েছেন, কিন্তু আদৌ কি এমন ঘটে ? মাটি খুঁড়ে (Digging) সোনা-দানা পাওয়া গেলে তাতে কার অধিকার থাকে ? বাড়ির মালিকের নাকি সরকারের ?


ছবিতে দেখানো দৃশ্যের সঙ্গে বাস্তবের অনেক ফারাক আছে। আদপে বাড়ির নিচে মাটি খুঁড়ে সোনা-দানা গুপ্তধন পাওয়া গেলে আদৌ আপনি বড়লোক হয়ে যাবেন না। কারণ দেশের আইন অনুসারে সেই সম্পদের মালিকানা আপনার নয়। কী বলছে দেশের আইন (Dafina Act) ? আইন বলছে ভারতে গুপ্তধনের লোভে মাটি খনন করা বেআইনি। ১৯৬০ সালে এই বিষয়ে আইন আনা হয়েছিল। আর এই আইনে খননকার্যের সম্পূর্ণ অধিকার দেওয়া হয় ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের উপরে। তবে এই খননকার্য প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব সম্বলিত জিনিসের ক্ষেত্রে আইনসিদ্ধ বলে দাবি করা হয়েছে। ফলে মাটি খুঁড়ে কোনও ধন-সম্পদ পাওয়া গেলে তার উপর প্রথম অধিকার রয়েছে সরকারের। এই জমি যার নামেই থাক বা জমির মালিক যেই হোক না কেন, অধিকার বর্তায় সরকারের।


দাফিনা আইন রয়েছে দেশে


ধরা যাক আপনার বাড়িতে মাটি খোঁড়ার সময় কোনও ধন-সম্পদ পাওয়া গেল, তাহলে ১৯৭১ সালের দাফিনা আইনে (Dafina Act) সেই সম্পদের ব্যবস্থা করা হবে। এই আইন অনুযায়ী যে ব্যক্তি এই গুপ্তধনের সন্ধান পাবে, তাঁকে বাধ্যতামূলকভাবে পুলিশ বা প্রশাসনকে জানাতে হবে। এরপরে প্রশাসন তা বাজেয়াপ্ত করে সরকারি কোষাগারে জমা করবে। কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব সম্বলিত কোনও জিনিস হলে তা পাঠানো হবে গবেষণাগারে। আর যদি কেউ দাবি করে যে সেই সম্পদ সোনা-দানা তার, তাহলে এই মামলার নিষ্পত্তি করবে আদালত।


তথ্য না জানালে পেতে হবে শাস্তি


মাটির নিচে কোথাও সোনা-দানা বা সম্পদ পাওয়া গেলে তার সঠিক তথ্য প্রশাসনকে জানাতে হবে। আর এই তথ্য না জানালে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আপনাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। আপনার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হতে পারে। এই ক্ষেত্রে আপনার ৬ মাসের জেল বা জরিমানা হতে পারে।