Passport Rules: ভারত সরকার তিনটি আলাদা আলাদা ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে থাকে- নীল, লাল ও সাদা রঙের। প্রতিটি পাসপোর্ট কিছু পূর্বনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যপূরণের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে আর একেক ধরনের নাগরিকদের একেক রকম পাসপোর্ট দেওয়া হয়। প্রতিটি পাসপোর্টের যোগ্যতা, ব্যবহারবিধি ও সুযোগ-সুবিধে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। ভ্রমণের স্বাধীনতার নিরিখে একেকটি পাসপোর্টে আলাদা আলাদা স্বাধীনতা দেওয়া হয়ে থাকে, জেনে নিন কোন পাসপোর্টের কী কী বিশেষত্ব।

নীল পাসপোর্ট

নীল পাসপোর্টকে বলা হয় টাইপ পি পাসপোর্ট বা পার্সোনাল/সাধারণ পাসপোর্ট। বেশিরভাগ ভারতীয় নাগরিককে এই পাসপোর্টই দেওয়া হয়। ব্যবসায়িক কাজ, ভ্রমণ, শিক্ষা, পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য এই পাসপোর্ট ইস্যু করা হয় যা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১০ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকে আর ১৮ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে ৫ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকে। এতে ৩৬ অথবা ৬০টি পাতা থাকে যা আবেদনকারীর প্রাধান্যের উপরে নির্ভর করে। পরিচয়পত্র, ঠিকানা আর নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে নন-অফিসিয়াল উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য এই পাসপোর্ট ব্যবহার করা যায়।

রেড পাসপোর্ট

রেড পাসপোর্টকে বলা হয় টাইপ ডি পাসপোর্ট যা কিনা ভারতের আমলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখা থাকে। ডিপ্লোম্যাট, উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক, বা ভারতের প্রতিনিধিত্বকারী এমন কাউকে এই পাসপোর্ট দেওয়া হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে এই পাসপোর্টে বেশ কিছু ডিপ্লোম্যাটিক সুবিধে দেওয়া হয়, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের কর্মীদের জন্য এই পাসপোর্ট সংরক্ষিত থাকে। এতে বেশিরভাগ সময়েই ভিসা ছাড়াই আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সুবিধে দেওয়া হয়। আর বিমানবন্দরেও এই রেড পাসপোর্টধারকদের প্রাধান্য দেওয়া হয় সবথেকে বেশি।

হোয়াইট পাসপোর্ট

এই পাসপোর্টকে বলা হয় টাইপ এস বা এটি আদপে অফিসিয়াল পাসপোর্ট যারা আসলে উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক নন, কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের জন্য আন্তর্জাতিক ভ্রমণ করবেন। নন-ডিপ্লোম্যাটিক অফিসইয়াল ভ্রমণের জন্য এই পাসপোর্ট ব্যবহার করে থাকেন সরকারি কর্মীরা। আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে যোগ দিতে, প্রশিক্ষণ নিতে, অন্য সরকারি কাজে এই পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন ব্যক্তিরা। সংশ্লিষ্ট সরকারি কাজের মেয়াদ পর্যন্ত বা সর্বোচ্চ ৫ বছর পর্যন্ত এই পাসপোর্টের বৈধতা থাকে।

আরেক ধরনের পাসপোর্ট হয় যাকে বলা হয় এমার্জেন্সি সার্টিফিকেট। যে ভারতীয় নাগরিকরা পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেছেন, কোনও সমস্যায় পড়েছেন তাদের ভারতীয় দূতাবাস থেকে বা কনস্যুলেট থেকে এই পাসপোর্ট দেওয়া হয়। অন্য দেশে যাওয়ার জন্য, ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে বা এমন কোনো জরুরি পরিস্থিতি যার জন্য তাদের দেশে ফিরতে হবে সেই সময় এই এমার্জেন্সি সার্টিফিকেট পাসপোর্ট দেওয়া হয়। এটি একটি সিঙ্গল-ইউজ ডকুমেন্ট যা শুধুমাত্র জরুরি পরিস্থিতিতেই জারি করা হয়। ভারতের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ক্ষমতাশালী পাসপোর্ট হল রেড পাসপোর্ট যার অধীনে বেশ কিছু ভিসা ছাড়াই বা সরলীকৃত ভিসা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে পারেন ব্যক্তিরা।