কলকাতা : পঞ্চায়েত ভোটের ( Panchayet Poll ) আগে গ্রামে গ্রামে জনসংযোগে জোর তৃণমূলের। নজরুল মঞ্চে 'দিদির সুরক্ষাকবচ' কর্মসূচির সূচনা করল তৃণমূল। আগামী ৬০ দিন তৃণমূলের ( TMC ) নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করলেন মমতা ( Mamata Banerjee ) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee ) । জানানো হল, '১০ কোটি মানুষের জন্য নতুন অ্যাপ দিদির দূত'।
ক্যাম্পেনের লোগোপ্রকাশ
কর্মিসভায় আগামী ৬০ দিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ স্তরে একটা নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভার শুরুতেই তিনি সেমনে আনলেন ক্যাম্পেনের লোগো । বললেন, 'আমাদের দলের সভানেত্রী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং সকলের, সকলের প্রতি মা-মাটি-মানুষের প্রতি উৎসর্গীকৃত প্রাণ, আমি তাঁকে অনুরোধ করব, যে তাঁর হাত দিয়ে আজকে এই কর্মসূচির শুভ সূচনা যাতে আমরা উপলব্ধি করতে পারি। এবং সবার সামনে এই ক্যাম্পেনের লোগো প্রকাশের জন্য আমি নেত্রীকে অনুরোধ করব। '
আরও পড়ুন :
বাংলার মানুষের জন্য তৃণমূলের নতুন অ্যাপ দিদির দূত, ঘোষণা অভিষেকের, কী সুবিধে এতে
দিদির দূত
এরপরই দিদির সুরক্ষা কবচ প্রকল্পের কথা তিনি সভায় জানান। বললেন , ' এই কর্মসূচিটির নাম হচ্ছে দিদির সুরক্ষা কবচ। এখানে আগামী ১১ তারিখ থেকে এটি গ্রাউন্ডে বাস্তবায়িত করা শুরু হবে। ' অভিষেক ঘোষণা করলেন, ' তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বস্তরের সাড়ে ৩ লক্ষ ভলান্টিয়ার যুক্ত থাকবেন এতে। বাংলার ১০ কোটি মানুষ এবং ২ কোটি হাউসহোল্ডের কাছে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যাবে। দিদির দূত হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের সাড়ে ৩ লক্ষ প্রতিনিধি প্রায় ২ কোটি মানুষের বাড়িতে পৌঁছাবে। সরকাররে যে ১৫টা ফ্ল্যাগশিপ স্কিম রয়েছে, সেই স্কিমের সুযোগ-সুবিধা যাতে সাধারণ মানুষ ঠিকভাবে, ঠিক সময়ে পাচ্ছে, তা নিশ্চিত করতে হবে। '
দুয়ারে সরকারের কথা টেনে তিনি বলেন, ' আপনারা জানেন গতবছর থেকে দুয়ারে সরকার আমাদের সরকার চালু করেছে। তার পরেও এই কর্মসূচির সঙ্গে ১০ কোটি মানুষের বাড়িতে যেতে হবে। একটি অ্যাপ আমরা তৈরি করেছি, যা প্লে স্টোরে অ্য়াভেলেবেল। যার নাম হচ্ছে দিদির দূত। '
কীভাবে কাজ করবে দিদির দূত
অভিষেক বিস্তারে বুঝিয়ে দেন কীভাবে কাজ করবে দিদির দূত। এখানে স্বাস্থ্য রয়েছে, সামাজিক সুরক্ষা রয়েছে, উপার্জন রয়েছে, আবাস রয়েছে, শিক্ষা রয়েছে, খাদ্য রয়েছে। এই আলাদা আলাদা প্য়ারামিটারে প্রায় ১৫টি স্কিম, সরকারের যে ফ্লাগশিপ স্কিম, যেমন স্বাস্থ্যসাথী রয়েছে, শিক্ষাশ্রী রয়েছে, কন্যাশ্রী রয়েছে, ঐক্যশ্রী রয়েছে, বাংলা আবাস যোজনা রয়েছে, খাদ্যসাথী রয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার রয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী রয়েছে, যুবশ্রী রয়েছে, কন্যাশ্রী রয়েছে। এই ১৫টা ফ্ল্যাগশিপ স্কিমকে সরকার প্রত্যেকটা মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিতে চাইছে।
অভিষেক জানালেন, আগামী ২ মাস ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় সাড়ে ৩০০ জন রাজ্যস্তরের নেতা তারা ১০দিন করে প্রত্যেকটি গ্রামে থাকবে। প্রত্য়েকটি অঞ্চলে রাত্রিযাপন করবে। মানুষের সঙ্গে কথা বলবে। এবং মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগ মতামতের কথা যাতে নেত্রী অবধি পৌঁছয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি চলে যাওয়ার পরে পরের দিন থেকে দিদির দূতেরা গিয়ে প্রত্যেকটা বাড়িতে বাড়িতে, সেই সুযোগ সুবিধা সরকারের যে উন্নয়নমূলক কর্মসূচি সেটা তাঁরা প্রকৃত অর্থে পাচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।