Gautam Adani: গৌতম আদানির নেতৃত্বে আদানি গ্রুপ দেশের বৃহত্তম কপার প্ল্যান্ট খুলতে চলেছে। গুজরাটের মুন্দ্রায় তৈরি হবে এই প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্টে দেশের তামার আমদানি কমবে। আদানি গ্রুপ কপার প্ল্যান্টে প্রায় $1.2 বিলিয়ন বিনিয়োগ করবে। এর প্রথম ধাপটি মার্চের শেষের দিকে কাজ শুরু করবে এবং 2029 সালের আর্থিক বছরের শেষ নাগাদ প্ল্যান্টের ক্ষমতা প্রায় 10 লাখ টন হবে।


ভারতে সবুজ শক্তির চাহিদা বাড়ছে
সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই জানিয়েছে যে ভারত চিনের মতো অন্যান্য দেশের মতো তামা উৎপাদনকে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত অপরিশোধিত তেলের উপর নির্ভরতা শেষ করতে সবুজ শক্তির অন্যান্য উপায় প্রচার করছে। এ জন্য বৈদ্যুতিক যান (ইভি), চার্জিং অবকাঠামো, সৌরশক্তি, বায়ু শক্তি এবং ব্যাটারির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এই সব জন্য তামা প্রয়োজন.


প্রথম ধাপে বছরে ৫ লাখ টন উৎপাদন হবে
সূত্রের খবর অনুযায়ী, আদানি এন্টারপ্রাইজের (AEL) সহযোগী প্রতিষ্ঠান Kutch Copper Limited (KCL) এই গ্রিনফিল্ড কপার প্রজেক্ট তৈরি করছে। দুই ধাপে নির্মিত এই প্রকল্পটি বছরে ১০ লাখ টন তামা উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। প্রথম পর্যায়ে এর ধারণক্ষমতা হবে বার্ষিক ৫ লাখ টন। সূত্র জানিয়েছে যে আদানি তামার ব্যবসাকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। তিনি এই সেক্টরের নেতা হতে চান। 2030 সালের মধ্যে, তিনি বিশ্বের বৃহত্তম তামা গলানোর কমপ্লেক্স তৈরি করতে চলেছেন।


২০৩০ সালের মধ্যে তামার ব্যবহার দ্বিগুণ হতে পারে
ভারতে মাথাপিছু তামার ব্যবহার 0.6 কেজি যেখানে বিশ্বব্যাপী গড় 3.2 কেজি। পরিচ্ছন্ন শক্তির প্রতি ভারতের ক্রমবর্ধমান মনোযোগের সাথে, এই খরচ 2030 সালের মধ্যে দ্বিগুণ হতে পারে। ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের পরে তামা তৃতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত ধাতু। আদানি গ্রুপ ক্লিন এনার্জি সেক্টরে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। ভারতে তামার উৎপাদন বর্তমানে দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য অপর্যাপ্ত। গত ৫ বছরে তামা আমদানিতে ব্যাপক বৃদ্ধি দেখা গেছে।


Reliance Industries-এর চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানিকে টপকে ভারত ও এশিয়ার সবথেকে ধনী ব্যক্তি এখন গৌতম আদানি। Bloomberg Index এই তথ্য সামনে এনেছে। ৫ জানুয়ারি দাঁড়িয়ে গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৯৭.৬ বিলিয়ন ডলার। এক ধাপ নীচে থাকা মুকেশ আম্বানির রয়েছে, ৯৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি। এই অর্থবর্ষে ভারতে আর্থিকভাবে লাভবানদের মধ্যে অন্য়তমও আদানি। এর আগে জিন্দাল স্টিলের সাবিত্রী জিন্দাল ছিলেন আর্থিকভাবে সর্বাধিক লাভবান, তাঁকে পরে পেছনে ফেলে দেন মুকেশ আম্বানি। কিন্তু, ২০২৩-এ জায়গা ফিরে পান আদানি। 


Paytm নিয়ে চলছে গুজব ? টাকা পাচারের অভিযোগ ! এবার মুখ খুলল কোম্পানি