মুম্বই: বাজারে আদানি গ্রুপের অধীনস্থ সংস্থাগুলির মূলধন চলতি অর্থবর্ষের প্রথম সপ্তাহেই ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রথম প্রজন্মের কোনও ভারতীয় সংস্থার ক্ষেত্রে এটি একটি নজির। আজ আদানি গ্রুপের বার্ষিক সাধারণ সভায় এমনই জানিয়েছেন চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। 


গত মাসে ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেড তিনটি ফরেন পোর্টফোলিও ইনভেস্টর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানায়। ফলে আদানি গ্রুপের ২ লক্ষ কোটি টাকা মূলধন কমে যায়। যদিও আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এই ধরনের খবর ভুল ও বিভ্রান্তিকর। 


এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে আজ আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘নিয়ন্ত্রকদের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তার ফলে অপ্রত্যাশিতভাবে আদানি গ্রুপের শেয়ারের দর কমে যায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের কিছু ছোটমাপের বিনিয়োগকারী এই ধরনের খবর দেখে প্রভাবিত হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে এই ধরনের খবরে আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা এমন কিছু চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেছি, যা অনেকে ভাবতেই পারবে না। আমাদের দিকে যখনই কোনও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়, তখনই আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠি।’ 


আদানি গ্রুপের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেছেন, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকনমিক জোনের ব্যবসা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কন্টেনার সেগমেন্ট মার্কেট শেয়ার ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের একমাত্র সংস্থা হিসেবে আদানি গ্রুপেরই বন্দর সংক্রান্ত ব্যবসা এত সাফল্য পেয়েছে। 


গৌতম আদানি আরও জানিয়েছেন, ‘আদানি গ্রিন এনার্জি বিশ্বের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ সংস্থা। ভারতে প্রতি চারজন যাত্রীর একজন এখন আদানি গ্রুপের বিমানে চড়েন। কোনও বড় দেশে অন্য কোনও সংস্থা ২৫ শতাংশ বাজার ধরতে পারেনি। আদানি গ্রুপ আমদাবাদ, লখনউ ও ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরের কাজকর্ম পরিচালনা করছে। এছাড়া গুয়াহাটি, জয়পুর ও তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরের বিষয়েও চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মুম্বই ও নভি মুম্বই বিমানবন্দর অধিগ্রহণের বিষয়েও কথা চলছে।’