Amazon: বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন টেক সংস্থা ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই (Employee Layoff) করছে। সেই তালিকায় রয়েছে অ্যামাজনও (Amazon)। ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে অ্যামাজনের বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রায় ১০ হাজার কর্মী চাকরি খুইয়েছেন। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালেও যে অ্যামাজন সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে সেকথা আগেই জানিয়েছে কোম্পানি। তবে এবার সুখবর শোনা গিয়েছে। প্রায় ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পর এবার কর্মী নিয়োগে মন দিয়েছে অ্যামাজন সংস্থা। জানা গিয়েছে, অ্যামাজনের ক্লাউড কর্মী নিয়োগ করা হবে। সম্প্রতি ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুসারে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, অ্যামাজনের ওয়েব সার্ভিস সেল এবং মার্কেটিং টিমের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট Matt Garman জানিয়েছেন, Amazon Web Services (AWS) business- অ্যামাজন কোম্পানির এই বিভাগে কর্মী নিয়োগ করা হবে। তবে এই কর্মী নিয়োগ করা হবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে। এবছর কোনও কর্মী নিয়োগ করা হবে না। 


অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জেসি জানিয়েছেন তাদের কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া ২০২৩ সাল অর্থাৎ আগামী বছরেও চালু থাকবে। আরও কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যামাজন। বিশ্বজুড়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের এই প্রক্রিয়া সম্প্রতি শুরু হয়েছিল ট্যুইটারের হাত ধরে। তারপর কর্মী ছাঁটাই করেছে মেটা কর্তৃপক্ষও। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়েছে অ্যামাজনের। তবে আশার ব্যাপার একটাই যে একধাক্কায় কর্মী সংখ্যা ব্যাপক হারে কমিয়ে ওয়ার্ক ফোর্স কমানো হচ্ছে না। ধীরে ধীরে কমানো হচ্ছে কর্মী সংখ্যা। শোনা গিয়েছে, অ্যামাজন সংস্থা তাদের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাই করেছে। অ্যালেক্সা ভয়েস অ্যাসিসট্যান্ট ডিভিশন থেকেও চলছে কর্মী ছাঁটাই। এর পাশাপাশি এইচআর বিভাগে কর্মরতদের voluntary buyout offers- ও পাঠানো হয়েছে অ্যামাজনের তরফে। আগামী বছর কতজন কর্মীকে অ্যামাজন ছাঁটাই করবে তা এখনও জানা যায়নি। যেসব কর্মীকে ইতিমধ্যেই ছাঁটাই করা হয়েছে তাঁদের দু’মাসের মধ্যে নতুন চাকরি খুঁজে নিতে বলা হয়েছে।


ট্যুইটারে কর্মী ছাঁটাই


ট্যুইটারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর কাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি চলছে নিত্যনতুন নিয়মের প্রয়োগ। ট্যুইটারের (Twitter) সিইও পদে আসীন হয়েই প্রাক্তন সিইও পরাগ আগরওয়ালকে সরিয়ে দিয়েছিলেন ইলন। সেই সঙ্গে বড়সড় রদবদল হয়েছিল বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের ক্ষেত্রেও। পরাগ আগরওয়ালের সঙ্গে আরও দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত উচ্চপদস্থ ট্যুইটার আধিকারিককে বরখাস্ত করেছেন ইলন মাস্ক। বিভিন্ন স্তরের উচ্চ পদমর্যাদার লোকেদের সরানোর জন্য মোটা অঙ্কের মাশুল গুনতে হয়েছে তাঁকে। তবুও পরোয়া নেই। এর মাঝে আবার বিপুল পরিমাণে টেসলার শেয়ারও বিক্রি করে দিয়েছেন ইলন মাস্ক। অনুমান, ট্যুইটারে হয়ে যাওয়া ক্ষতি পূরণের জন্যই বিক্রি করতে হয়েছে শেয়ার। জানা গিয়েছে, ট্যুইটারের ভারতীয় সংস্থায় প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করেছেন ইলন মাস্ক।