কলকাতা: অবসর নেবেন বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি ও সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ। আগামী ৯ জুলাই তিনি অবসর নিতে চলেছেন। বন্ধন ব্যাঙ্কের (Bandhan Bank) প্রথম এমডি ও সিইও হিসেবে পরপর তিনবার তিনি এই পদের দায়িত্ব সামলেছেন দক্ষ হাতে। তবে মেয়াদ শেষে অবসরেই তাঁর কর্মজীবনে ইতি নয়। বরং এবার আরও বৃহত্তর দায়িত্ব নিতে চলেছেন তিনি। বন্ধন ফিনান্সিয়াল হোল্ডিংয়ে কৌশলগত ভূমিকা পালন করবেন চন্দ্রশেখর ঘোষ (Chandrasekhar Ghosh)।
কীভাবে যাত্রা শুরু হয়েছিল বন্ধনের
ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষ্য নিয়েই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে ২০০১ সালে বন্ধন সংস্থা তৈরি করেছিলেন চন্দ্রশেখর ঘোষ। পরে সেখান থেকেই ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে প্রথমে একটি এনবিএফসি সংস্থার রূপ নেয় বন্ধন (Bandhan Bank) এবং তারও পরে ২০১৫ সালে একটি ব্যাঙ্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে সারা দেশ জুড়ে শুরু হয় বন্ধন ব্যাঙ্কের কার্যক্রম। দেশের মধ্যে ২৫২৩টি শাখা ছিল তখন বন্ধন ব্যাঙ্কের আর আজ সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৫০টিতে। সারা দেশের ৩৫টি রাজ্যে আজ বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রায় ৩.৫০ কোটি গ্রাহক রয়েছেন। আর দেশের সমস্ত শাখা মিলিয়ে মোট প্রায় ৭৫ হাজারেরও বেশি কর্মচারী কাজ করছেন এই ব্যাঙ্কে। ব্যাঙ্কের তরফে প্রদত্ত ঋণের অঙ্ক ১৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১.২৯ লক্ষ কোটি টাকা। আর অন্যদিকে ব্যাঙ্কের আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ২৫ শতাংশ, এখন সেই সংখ্যাটা ১.৩৫ কোটি টাকা।
অবসর গ্রহণ নিয়ে কী জানান ব্যাঙ্কের এমডি সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ
ব্যাঙ্কের এই শ্রীবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি প্রসঙ্গে এমডি সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ (Chandrasekhar Ghosh) জানান, 'আমার অবসর গ্রহণ একটি সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না কখনও। আমি খুব সৌভাগ্যবান যে এখানে একটি মজবুত টিম রয়েছে যা এই ব্যাঙ্কের দ্রুত বৃদ্ধি করতে এবং আরও বেশি পরিমাণ গ্রাহককে পরিষেবা দিতে প্রস্তুত বলে আমি নিশ্চিত। বিগত অর্থবর্ষে ব্যাঙ্ক ব্যবসায়িক গতি ফিরে পেয়েছে ও তাঁর সঙ্গে ব্যাঙ্ক নিজের নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে। এই উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে আমার আশা ভরসা আরও প্রকট হয়েছে এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এটাই আমার অবসর গ্রহণের সঠিক সময়। আমি বোর্ডকে জানিয়েছি যে ব্যাঙ্কের যে কোনও পরামর্শের জন্য আমি সবসময় আছি। ২০০১ সাল থেকে শুরু হওয়া বন্ধনের ২০১৫ সালে একটি জাতীয় ব্যাঙ্ক হিসেবে রূপান্তরিত হওয়া আমার এই যাত্রাকে পূর্ণ করেছে। একটি ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে জাতীয় ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত হওয়ার রাস্তায় আমি অনেক কিছু শিখেছি।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।