অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। গেছিলেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে। আর সেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল মৎস্য ব্যবসায়ীর। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেলেন তিনি । ভাগ্য বদলে দিল লটারি !
লটারির কামাল
হঠাৎ করে দারিদ্র্যর অন্ধকার দূর হতেই খুশির হাওয়া পরিবারে । হিন্দির একটি প্রচলিত প্রবাদ,'উপরওয়ালা যব দেতা হ্যায়, তো ছপ্পর ফাড়কে দেতা হ্যায়'। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা অশোক মহালদারের জীবনে এই প্রবাদ বাক্যটি এখন সত্য। হাটে বাজারের মাছ বিক্রি করতেন ৩৭ বছরের অশোক। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী,এক ছেলে এবং এক মেয়ে। সংসারে অত্যন্ত অর্থাভাব। অভাবই ছিল অশোক বাবুর পরিবারের নিত্যদিনের সঙ্গী। অভাব দূর করতে মাঝে মাঝে টুকটাক লটারি কাটতেন। কিন্তু কখনওই লটারির পুরস্কার পাননি। ইদানিং কালে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাতেও ভুগছিলেন। শুক্রবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তিনি চাঁচল সদরের একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার সময় ৩০ টাকা দিয়ে একটি লটারির টিকিট কাটেন। আর তাতেই কেল্লাফতে। শুক্রবার 'ডিয়ার মর্নিং লটারি'তে এক কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার জিতে নেন অশোক মহালদার।
বাড়ির লোকের প্রতিক্রিয়া
ফলাফল দেখার পর নিজেই যেন তার নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। শুক্রবার রাতেই নিজেদের সুরক্ষার জন্য হরিশ্চন্দ্রপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন অশোক। তিনি জানাচ্ছেন, আগে যেমন জীবন যাপন করতেন, তেমন ভাবেই করবেন। আগের মতোই মাছ বিক্রি করবেন। আর এই টাকায় নিজেদের শখের একটা বাড়ি বানাবেন। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা করাবেন। অশোক মহালদার জানালেন, 'মাঝে মাঝে টিকিট কাটতাম। ৩০ টাকার লটারি কেটেছিলাম। ফলাফল মিলিয়ে দেখি আমি এক কোটি টাকা জিতেছি। খুব ভালো লাগছে।এবার ছেলে মেয়েদের ভালো ভাবে পড়াশোনা করাতে পারবো।'
দাদা নয়ন মহালদার বলেন,"আমি তো মাঠে কাজ করছিলাম। আমার ছেলে এসে বলছে আমাকে ডাকছে বাড়িতে। ভাবলাম ভাইয়ের মনে হয় বেশি শরীর খারাপ হয়েছে। কিন্তু গিয়ে দেখি এই খুশির খবর। আমরা সকলে খুব আনন্দিত।"
আরও পড়ুন :