Bank Loan Application: ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের আবেদনের সময় প্রাথমিকভাবে দেখা হয় আপনার ক্রেডিট স্কোর কত আছে। সাধারণত ক্রেডিট স্কোর (Credit Score) ৭৫০ বা তার বেশি থাকলে যে কোনো ব্যাঙ্ক কিংবা এনবিএফসি থেকে ঋণ পেতে কোনো অসুবিধে হয় না। এই ক্রেডিট স্কোরের সাহায্যে আপনি ক্রেডিট কার্ড এবং পার্সোনাল লোনও নিতে পারবেন। তবে ভাল ক্রেডিট স্কোর (Loan Approval) থাকার পরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার ঋণের (Bank Loan) আবেদন মঞ্জুর নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে যাতে আপনার ঋণের আবেদন সহজেই মঞ্জুর হয়ে যায় ?
কী কী কারণে ভাল ক্রেডিট স্কোর থাকার পরেও কিছু কিছু বিষয়ে নজর না দিলে আপনার ঋণের আবেদন মঞ্জুর নাও হতে পারে। তার মধ্যে প্রথমেই হল ব্যাঙ্ক ও এনবিএফসির নিয়মানুসারে কিছু উপার্জনের সীমা রয়েছে যা না থাকলে ঋণের আবেদন বা ক্রেডিট কার্ডের আবেদন মঞ্জুর হবে না। এক্ষেত্রে একেক ব্যাঙ্কের একেক রকম নিয়ম আছে। সেলফ এমপ্লয়েড ব্যক্তিদের জন্য বার্ষিক উপার্জন হতে হবে ৬ লক্ষ বা তার বেশি। এর জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইলেও এই অঙ্কের উল্লেখ থাকতে হবে।
তাছাড়া কোনো ব্যক্তি যদি বারবার চাকরিক্ষেত্র বদল করে থাকেন, তাহলে ঋণের আবেদন মঞ্জুর হতে সমস্যা হতে পারে। ব্যাঙ্ক মূলত চায় যাতে ঋণগ্রহীতার পেশাগত দিক স্থিতিশীল থাকে। এর মাধ্যমেই গ্রাহকের কাছে নিয়মিত অর্থাগম বা বেতন আসতে থাকবে যাতে ঋণ পরিশোধে কোনো সমস্যা হবে না।
শুধু এখানেই শেষ নয়, কেওয়াইসি নথির ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। আপনার ঋণের আবেদনের সময় জমা দেওয়া সংশ্লিষ্ট নথিগুলির মধ্যে কোনোটিতে তথ্যে ভুল থাকলে বা কোনো নথি বাদ পড়ে থাকলে আপনার ঋণের আবেদন মঞ্জুর হবে না।
খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি যদি বহুবার ঋণের আবেদন করেন, তাহলে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে গ্রাহককে 'ক্রেডিট হাংরি' বলে ধরে নেওয়া হবে যা একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রতিবার ঋণের আবেদনের সময় ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে আপনার ঋণের প্রোফাইল ভালমত যাচাই করা হয়, এই কারণে ক্রেডিট স্কোরেও প্রভাব পড়ে। খুব স্বল্প মেয়াদের মধ্যে অতিরিক্ত ঋণের আবেদন ক্রেডিট স্কোর কমিয়ে দেয় গ্রাহকের। সেক্ষেত্রে ঋণের আবেদন মঞ্জুর নাও হতে পারে।
আরও পড়ুন: Savings Schemes: ৫০: ৩০: ২০ ফর্মুলায় হবেন কোটিপতি ! সামান্য বিনিয়োগও বিশাল তহবিলে পরিণত হবে