কলকাতা: চিনা মাঞ্জা গলায় লেগে ফের দুর্ঘটনা মা উড়ালপুলে। চিনা মাঞ্জায় আহত হলেন এক মোটর সাইকেল আরোহীর। অভিযোগ, ১০০ ডায়াল করে সাহায্য় চাইলেও মেলেনি। পুলিশ দেরিতে এসে পৌঁছয়। মা উড়ালপুল আগেও একাধিক বার এমন দুর্ঘটনা ঘটে। সেই মতো পুলিশের তরফে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিনা মাঞ্জার দরুণ উদ্ভুত বিপদ এড়ানো যাচ্ছে না কিছুতেই। মা উড়ালপুলে আবারও চিনা মাঞ্জায় আহত হলেন এক ব্যক্তি। (Maa Flyover)
রবিবার দুপুরে মা উড়াল ধরে এগনোর সময় চিনা মাঞ্জায় আহত হন এক বাইক আরোহী। মোটর সাইকেলের পিছনের আসনেও একজন বসেছিলেন। তাঁর কিছু হয়নি, কিন্তু যিনি মোটর সাইকেল চালাচ্ছিলেন, তিনি আহত হয়েছেন। বাইক আরোহীর দুই চোখের মাঝে, নাকের উপর আঘাত পান তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় নাক চেপে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। চোখের পাশের অংশও কেটে যায় তাঁর। চার পাশে ভিড়ও জমে যায় সেখানে। (Kolkata News)
আহত ব্যক্তি জানিয়েছেন, আজ SSKM হাসপাতালের দিক থেকে মা উড়ালপুল ধরেন তিনি। নিউটাউন যাওয়ার জন্য রওনা দেন। কিন্তু মাঝপথেই বিপত্তি বাধে। চিনা মাঞ্জায় গুরুতর আহত হন। শুধু তাই নয়, আহত ব্যক্তির দাবি, প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ১০০ ডায়াল করে তিনি সাহায্য চান ওই ব্যক্তি। কিন্তু অনেক দেরিতে পুলিশ এসে পৌঁঁছয়। এক পুলিশকর্মী এসে ওই ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পুলিশের ভ্যানে তুলেই তড়িঘড়ি প্রাথমিক চিকিৎসা হয় তাঁর।
তবে এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকায়। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, কলকাতা পুলিশের সক্রিয়তায় মা উড়ালপুলে চিনা মাঞ্জার জেরে দুর্ঘটনা আটকানোর চেষ্টা হয়েছিল। ড্রোন উড়িয়ে, কাঁটাতারের বেড়়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল মা উড়ালপুলের দুই দিক, যাতে চিনা মাঞ্জা লেগে কেউ আহত না হন। কিন্তু এদিন যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে, সেখানেও দুই দিকে কাঁটাতার রয়েছে। তার পরও কী করে চিনা মাঞ্জা এল ওই জায়গায়, উঠছে প্রশ্ন।
এদিন আহত ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় বিস্মিত তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তি জানিয়েছেন, গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত তাঁরা। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে বলে দাবি জানান তিনি। পুলিশ যে দেরিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়, তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। পুলিশের তরফে এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। ওই ব্যক্তির চিকিৎসা চলছে। এদিন রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে দেখে উড়ালপুলে অন্য গাড়িও দাঁড়িয়ে যায়। গোটা ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন সকলেই।