Best Mutual Fund : ইজরায়াল-ইরান সংঘাতের (Israel Iran Tension) মধ্যে ধীর গতি নিয়েছে ভারতের শেয়ার বাজার (Indian Stock Market)। যদিও এই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ এসেই চলেছে। আপনিও যদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের কথা ভাবেন, তাহলে ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডের কথা ভাবতে পারেন। পরিসংখ্যন বলছে, এই ফান্ডগুলি টানা তৃতীয় মাসে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ পেয়েছে।

কত টাকা বিনিয়োগ এসেছে এই ফান্ডে২০২৫ সালের মে মাসেও এই ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডে ৩,৮৪১ কোটি টাকার সর্বোচ্চ বিনিয়োগ এসেছে। যা অন্যান্য সমস্ত ইক্যুইটি ফান্ড বিভাগকে ছাড়িয়ে গেছে। মার্চ ও এপ্রিল মাসেও এটি ৫,৬১৫ কোটি টাকা এবং ৫,৫৪১ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করেছে।

ফ্লেক্সিক্যাপ হওয়াই সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্টফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল যে এগুলি কোনও একটি বাজার মূলধনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর অর্থ হল , যে ফান্ড ম্যানেজারের যেকোনও সময় তার ইচ্ছানুযায়ী লার্জ ক্যাপ, মিড ক্যাপ বা স্মল ক্যাপ স্টকে বিনিয়োগ করার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে। এই কারণেই এই ফান্ডগুলি বাজারের ওঠানামার সঙ্গে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায়।

বাজারের কারেকশনের সময়েও শক্তি দেখাচ্ছে ফান্ড২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে যখন বাজার কারেকশন নিচ্ছিল, তখন ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডগুলি প্রায় ৩১.৭৬ শতাংশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল, যা মিডক্যাপ (৩৫.৯১ শতাংশ) এবং স্মলক্যাপ (৩৯.৭৬ শতাংশ) তহবিলের চেয়ে কম ছিল। এই হিসেব দেখায় যে ঝুঁকি থাকলেও এখানে বিনিয়োগকারীদের মূলধন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

কোন তহবিলগুলি সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছে?গত তিন মাসে, ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড বিভাগে মোট ১৪,৯৯৮ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে। এই সময়ের মধ্যে, যে তহবিলে সর্বাধিক বিনিয়োগ করা হয়েছে তা হল পরাগ পারেখ ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড। এতে ১৫,৮৬৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর পরে, এইচডিএফসি ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড - ১১,৬৬০ কোটি টাকা এবং কোয়ান্ট ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড - ৯৬৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে, শ্রীরাম ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড সর্বনিম্ন ১১.৭২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।

অন্যান্য বিভাগের তুলনায় ফ্লেক্সি ক্যাপের অবস্থান কোথায় ?AMFI-এর তথ্য অনুসারে, ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডের AUM (অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজমেন্ট) এখন ৪.৭১ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা এটিকে ইক্যুইটি ফান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিভাগ করে তুলেছে। অন্যদিকে, গত তিন মাসে স্মলক্যাপ ফান্ডগুলি ১১,৩০৬ কোটি টাকা পেয়েছে। যেখানে মিডক্যাপ ফান্ডগুলি ৯,৫৬১ কোটি টাকা, লার্জক্যাপ ফান্ডগুলি ৬,৪০১ কোটি টাকা এবং ডিভিডেন্ড ইল্ড ফান্ডগুলি মাত্র ১৭১ কোটি টাকা পেয়েছে। অন্যদিকে, ELSS ফান্ডগুলি থেকে ৩১৪ কোটি টাকা তুলেছে।

বিনিয়োগকারীদের কী করা উচিত ?বাজারের বর্তমান অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ডগুলি একটি বিচক্ষণ বিকল্প হতে পারে। তবে, কেবল তাদের উপর নির্ভর করা ঠিক হবে না। তাদের পোর্টফোলিওর ৫ থেকে ১০ শতাংশ দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে, যাতে আপনি তিনটি মার্কেট ক্যাপের এক্সপোজার পেতে পারেন। আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারী হন এবং মাঝারি থেকে উচ্চ ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড আপনার জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।

( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)