নয়াদিল্লি: চলতি বছরের ৫ জুলাই প্রথমবার কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেছিলেন মোদী মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ওই বাজেটের তিন মাস পরই তিনি কর্পোরেট কর ছাড়ের কথাও ঘোষণা করেন। ২০ সেপ্টেম্বরের সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী কর্পোরেট করে ছাড়ের সীমা ২২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করে দেওয়া হয় ৩০ শতাংশ। এমনকি অক্টোবরের ১ তারিখের পর নতুন তৈরি হওয়া কোম্পানিগুলোকেও বিপুল কর ছাড়ের কথা জানায় কেন্দ্র। ২৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ কর দেওয়ার বন্দোবস্ত করে দেয় নরেন্দ্র মোদীর সরকার। যার ফলে চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রের রাজস্বের ভাঁড়ারে টান পড়ে। পরিসংখ্যান বলছে, ইতিমধ্যেই ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। সরকারি তথ্য  অনুযায়ী দেশ বিগত ৬ বছরে সবথেকে বেশি মন্দা পরিস্থিতি দিয়ে যাচ্ছে। একদিকে কর্পোরেট কর ছাড়ের জন্য রাজস্বঘাটতি, অন্যদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকা বেকারত্ব- সব মিলিয়ে ভারতীয় অর্থনীতি চলছে একেবারে শ্লথ গতিতে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংহ থেকে শুরু করে দেশের একাধিক অর্থনীতিবিদই এই পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এমন অবস্থায় দ্বিতীয়বার বাজেট পেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে পরামর্শ চেয়ে সার্কুলার জারি করল কেন্দ্র।


আয়কর ও শুল্ক বিষয়ে কোনও সুচিন্তিত পরামর্শ থাকলে তা সরকারকে জানান। আর তা জানাতে হবে ২১ নভেম্বরে মধ্যে।  আয়কর দফতর সম্ভবত প্রথমবার এমন কোনও নির্দেশিকা জারি করল। সে দিক থেকে দেখতে গেলে সরকারের এই পদক্ষেপ বেনজিরও বটে।


২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের কথা রয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি। সেখানে দেশের অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেই বিষয়েই পরামর্শ চাইছে অর্থমন্ত্রক। নির্দেশিকায় সরকার জানিয়েছে, “সরাসরি কর নিয়ে কোনও প্রস্তাব থাকলে তা জাননো হোক। তবে মাথায় রাখতে হবে দেশীয় কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে যে কর ছাড়ের সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তাতে কোনও রকম রদবদল হবে না।” সঙ্গে এও বলা হয়, জিসএসটি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও পরামর্শ দিলে তা কেন্দ্রীয় বাজেটের অংশ হিসেবে ধার্য্য হবে না।