নয়াদিল্লি: মহিলাদের অধিকার ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকার বড়সড় পদক্ষেপ নিতে পারে। আজ সংসদে সাধারণ বাজেট পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বৃদ্ধি নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, মহিলাদের বিয়ে ও মাতৃত্বের বয়সের সীমা নিয়ে সরকার সমীক্ষা করবে। এ ব্যাপারে বিবেচনা ও সুপারিশের জন্য অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট ভাষণে একটি টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা জানিয়েছেন। টাক্স ফোর্স গঠিত হওয়ার ছয়মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।


সীতারমণ বলেছেন, মহিলাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির কথা মাথায় রেখে সরকার এমন পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে। সেইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেছেন, ভারতের অগ্রগতির সঙ্গে উচ্চশিক্ষা ও কেরিয়ারের নতুন নতুন পথ উন্মুক্ত হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পুণর্বিবেচনার কথা ভাবা হচ্ছে। মাতৃত্বককালীন মৃত্যুর হারের ক্ষেত্রে লাগাম টানতে এ ব্যাপারে সরকার বিবেচনা করছে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, ২০১৬-তে দেশের মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রতি এক লক্ষে ১২২ মহিলা।
ভারতে মহিলাদের বিয়ের ন্যূনতম বয়সের সীমা ইংরেজ আমলে ১৯২৯-এ সারদা আইনের মাধ্যমে স্থির করা হয়েছিল। তখন মহিলাদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৪ ও পুরুষদের ন্যূনতম বয়স ১৮ করা হয়েছিল। এরপর ১৯৪০ ও পরে ১৯৭৮-এ ওই আইনে বদল ঘটানো হয়। ১৯৭৮-এ বিয়ের ন্যূনতম বয়স মহিলাদের ভেত্রে ১৮ ও পুরুষদের ক্ষেত্রে ২১ করা হয়েছিল। ২০০৬-এ ওই আইনের জায়গায় আসে বাল্যবিবাহ আইন প্রতিরোধ আইন।