LIVE UPDATES: এই বাজেটে আয় ও লগ্নি, চাহিদা ও কেনাবেচা বাড়বে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবস্থা, বললেন প্রধানমন্ত্রী

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 01 Feb 2020 05:27 PM
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবারের বাজেট সম্পর্কে বলেছেন, দেশে ১০০ বিমানবন্দর তৈরির লক্ষ্য পর্যটন ক্ষেত্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটন ক্ষেত্রে কম লগ্নিতে বেশি কর্মসংস্থান ও অর্থোপার্জনের সংস্থান রয়েছে।
কর্মসংস্থানের মূল ক্ষেত্র কৃষি, পরিকাঠানো, বস্ত্র ও প্রযুক্তি। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই চারটি ক্ষেত্রে এবারের বাজেটে অনেক বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেছেন, কৃষিক্ষেত্রে ১৬ অ্যাকশন পয়েন্ট আনা হয়েছে, যা গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন করবে, বেকারদের কর্মসংস্থান হবে।আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প দেশের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রকে নতুন দিশা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাজেটে যুবসমাজের কর্মদক্ষতা উন্নয়নের দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে। কর্মসংস্থানের জন্য বিনিয়োগ সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগেকারীদের জন্য করছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।কর ব্যবস্থার সরলীকরণে যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে।ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত অডিট প্রয়োজন হবে না।
তিনি বলেছেন, বাজেটে অন্যতম বড় সিদ্ধান্ত ব্যাঙ্কে আমানত বিমার সীমা ১ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করা।
বাজেটে হতাশ শেয়ার বাজার, সেনসেক্স পড়ল প্রায় ৫০০ পয়েন্ট।
যাঁরা পুরনো হারে কর দিতে চান তাঁরা আয়কর ছাড়ের সুবিধে পাবেন, যাঁরা নতুন হারে কর দেবেন তাঁরা এই সুবিধে পাবেন না।
ডিভিডেন্ডের ওপর কোম্পানিকে কোনও কর দিতে হবে না, যাঁরা ডিভিডেন্ড পাবেন তাঁরা কর দেবেন।
তবে যাঁরা পুরনো হারে কর দিতে চান তাঁরা পুরনো হারে কর দিতে পারবেন।
যিনি ১৫ লাখ টাকা অবধি আয় করছেন তাঁর ৭৫,০০০ টাকা কর কমে যাবে।
চালু হবে আইপিও, এলআইসি-র শেয়ার বাজারে বিক্রি করবে সরকার
৫ লক্ষ টাকা অবধি কোনও কর নয়। ১৫ লাখের বেশি আয় হলে ৩০ শতাংশ কর।
১২.৫০ লাখ -১৫ লাখ অবধি ২৫ শতাংশ কর।
১০ লাখ- ১২.৫০ লাখ অবধি ২০ শতাংশ কর।
৭.৫০ লাখ-১০ লাখ অবধি ১৫ শতাংশ কর।
৫ লাখ টাকা অবধি এতদিন কর দিতে হত না। নতুন ব্যবস্থায় ৫ থেকে ৭.৫০ লাখ অবধি ১০ শতাংশ কর।
যে কোম্পানিগুলি রয়েছে তাদের কর কমানো হচ্ছে ২২ শতাংশে।
২০২০-২১-এ লক্ষ্য ১০ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি।
আইডিবিআই-তে নিজেদের অংশ বেচে দেবে সরকার।
ব্যাঙ্কগুলি চাঙ্গা করতে বরাদ্দ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
ব্যাঙ্কে বেসরকারিকরণ জরুরি, বললেন অর্থমন্ত্রী। এ জন্য পদক্ষেপ করা চলছে।
৩ বছরের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে বসবে প্রিপেড মিটার
লাদাখ, জম্মু কাশ্মীরের উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ।
সরকারি ব্যাঙ্কে নিয়োগে আনা হচ্ছে পরিবর্তন, তৈরি হবে রাষ্ট্রীয় রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি।
করদাতাদের কখনওই উত্যক্ত করা যাবে না, তা হবে ফৌজদারি অপরাধ।
সংস্কৃতি মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ ৩১৫০ কোটি টাকা।
পর্যটনের জন্য বরাদ্দ ২৫০০ কোটি টাকা।
উন্নয়ন হবে কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরের, সারানো হবে দেশের ৪টি মিউজিয়াম। রাঁচিতে তৈরি হবে ট্রাইবাল মিউজিয়াম।
পর্যটকদের জন্য তৈরি হবে মিউজিয়াম সহ ৫টি প্রত্নতাত্ত্বিক ক্ষেত্র, রাখিগড়ি, আদিতচান্নালুর, শিবসাগর, হস্তিনাপুর, ধোলাভিরায়।
বরিষ্ঠ নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ ৯৫০০ কোটি টাকা।
তফশিসি জাতির জন্য ৮৫০০০ কোটি টাকা, জনজাতিদের জন্য ৫৩০০০ কোটি টাকা।
তৈরি হোক একটি টাস্ক ফোর্স, যারা ভেবে দেখবে, মেয়েদের মা হওয়ার বয়স বাড়ানো যায় কিনা।
১০ কোটি অন্তঃসত্ত্বার পরিবারকে বিশেষ সাহায্য, যাতে ভাবী মায়েদের শরীরে পুষ্টি হয়।
বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্প অত্যন্ত সফল, ৯২ শতাংশ মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে, ছেলেদের ক্ষেত্রে এই শতাংশ ৮৭।
জোর দেওয়া হবে স্টার্ট আপে।
তৈরি হবে ভারতের জেনেটিক মানচিত্র, এ জন্য জাতীয় স্তরে দুটি বিজ্ঞান প্রকল্পের প্রস্তাব।
১ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হবে অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের মাধ্যমে।
সাবার্বান রেলে নেওয়া হবে নতুন রেল প্রকল্প।
শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ হল ৯৯,৩০০ কোটি টাকা, পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ ১০০লক্ষ কোটি টাকা
আমদাবাদ-বেঙ্গালুরুতে নয়া রেল প্রকল্প।
রেলের খালি জমিতে গড়ে তোলা হবে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
২০২৪-এর মধ্যে তৈরি হবে ১০০টি নতুন বিমানবন্দর।
তৈরি হবে ৫৫০টি রেলওয়ে স্টেশন। আরও জলযান চালু করতে শুরু হচ্ছে জলবিকাশ প্রকল্প।
তৈরি হবে ২০০০ কিমি স্ট্র্যাটেজিক হাইওয়ে।
স্যাটে বসতে পারবেন আফ্রিকা-এশিয়ার পড়ুয়ারা।
বাড়ানো হবে ন্যাশনাল হাইওয়ে, চেন্নাই-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে। আরও বেশি ব্যবসাকেন্দ্রিক হবে হাইওয়েগুলি। ২০২৪-এর আগে তৈরি হবে আরও ৬০০০ কিমি হাইওয়ে।
জোর দেওয়া হবে দেশি মোবাইল উৎপাদনে, জেলায় জেলায় তৈরি হবে রফতানি কেন্দ্র।
বস্ত্র রফতানি করতে নেওয়া হচ্ছে নয়া প্রকল্প, বরাদ্দ হচ্ছে ১০০০ কোটি টাকা। ন্যাশনাল টেক্সটাইল মিশনের প্রস্তাব।
শিল্পপতিদের সাহায্যে তৈরি হবে ইনভেস্টমেন্ট ক্লিয়ারেন্স সেল, তাতে জমি সহ নানা সুযোগসুবিধে শিল্পপতিদের দেওয়া হবে। এতে অক্সিজেন পাবে উৎপাদন শিল্প।
স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য বরাদ্দ ৩০০০ কোটি টাকা।
জেলা হাসপাতালগুলিতে চালু হবে মেডিক্যাল কলেজ।
শিক্ষাক্ষেত্রে করা হবে বিদেশি বিনিয়োগ।
নতুন ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের সুযোগ দেবে শহরের পুরসভাগুলি। শুরু হবে অনলাইন ডিগ্রি কোর্স, প্রথম ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই সুযোগ পাবে।
১২টি রোগ নির্মূল করতে আসছে মিশন ইন্দ্রধনুষ।
স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১২,৩০০ কোটি টাকা।
আমাদের লক্ষ্য, আরও বেশি হাসপাতাল খোলা। কর থেকে পাওয়া টাকা ব্যয় হবে স্বাস্থ্যখাতে।
কৃষিপণ্য অনলাইনে বিক্রি করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফসল নিয়ে যাওয়ার জন্য চালু হবে কিষাণ রেল।
উত্তর পূর্বাঞ্চলে খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবে কৃষি করিডোর।
কৃষিপণ্য মজুতে তৈরি হবে আরও হিমঘর।
বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিও সব দিক থেকে দক্ষতা বাড়াবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
আমরা সব ঘরে প্রযুক্তির সুবিধে পৌঁছে দিতে চাই।
কর দেওয়ার প্রক্রিয়া এখন অনেক সরল। বিগত প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছিলেন, বৃদ্ধির সুফল দরিদ্রের ঘরে পৌঁছচ্ছে না, সেই সমস্যার অনেকটা সমাধান করেছি আমরা।
আমাদের লক্ষ্য পরিকাঠামোগত সংস্কার ও সবাইকে নিয়ে বৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলা।
শুধু স্থিতিশীলতার জন্য নয়, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মানুষ মোদী সরকারকে জনাদেশ দিয়েছেন। বললেন অর্থমন্ত্রী।
মোদী সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশে বিশ্বাসী। গোটা দেশ থেকে নানা প্রস্তাব পেয়েছি আমরা। আশা করছি, বাজেট সকলের জন্য উপকারী হবে। বললেন অনুরাগ ঠাকুর।
বাজেট পেশের আগে বেলা সোয়া দশটায় সংসদে মন্ত্রিসভার বৈঠক।
বাজেট পেশের আগেই সেনসেক্স পড়ল ১৪০ পয়েন্ট, নিফটি পড়েছে ১২৬.৫০ পয়েন্ট।
বাজেটের আগে পুজো দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
ব্যাঙ্কগুলিতে বাড়ছে নন পারফর্মিং অ্যাসেটের বোঝা, সংস্কারের দাবি বিশেষজ্ঞদের।
করছাড়ের মাধ্যমে সীতারমন বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির পথে হাঁটতে পারেন বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।

প্রেক্ষাপট

নয়াদিল্লি: এক বছর ধরে চলছে দেশের আর্থিক মন্দা। বৃদ্ধি নিম্নগামী, কর্মসংস্থানও আশানুরূপ নয়। এই পরিস্থিতিতে আজ সংসদে দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের দ্বিতীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। অর্থনীতিবিদদের আশা, বেহাল অর্থনীতির শক্ত হাতে হাল ধরে দেশকে বৃদ্ধির পথে ফেরাবেন তিনি।

মূলত পরিকাঠামো, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি, রেলওয়ে, কৃষি, সেচ, যাতায়াত, স্বাস্থ্য ও পানীয় জলের মত ক্ষেত্রে বড়সড় বিনিয়োগ আশা করা যাচ্ছে। চলতি অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধি কমে হয়েছে ৪.৫ শতাংশ, এই পরিস্থিতিতে চাহিদা বাড়িয়ে অর্থনীতির হাল ফেরানোই লক্ষ্য কেন্দ্রের। কিন্তু ঠিক কীভাবে তা করা সম্ভব এখনও পরিষ্কার নয়, বিশেষ করে গোটা বিশ্বেই যখন অর্থনীতিতে মন্দা চলছে। কিন্তু দেশের আর্থিক অভিমুখ নির্ধারণে ২০২০-র এই বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

এই পরিস্থিতিতে আজ বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন সীতারমন। বিশেষজ্ঞদের আশা, মূলত জোর দেওয়া হবে পরিকাঠামোর উন্নতিতে ও কর্মসংস্থানে। সাধারণ নাগরিককে কিছুটা করছাড় দিয়ে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির চেষ্টা হওয়া সম্ভব, কারণ দেখা যাচ্ছে, বেশি জিএসটি, কৃষিক্ষেত্রে সমস্যা, আশানুরূপ বেতনবৃদ্ধি না হওয়া সহ নানা কারণে চাহিদা শ্লথ হয়ে এসেছে। ফলে জিডিপি তো কমেছেই, কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। অটোমোবাইল, ভোগ্যপণ্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই মন্দার প্রভাব পড়েছে চোখে পড়ার মত। গতকাল সংসদে যে আর্থিক সমীক্ষা পেশ হয়েছে তাতে বলা হয়েছে খরচ করাকে উৎসাহ দিতে যাতে বাজারে চাহিদা বাড়ে ও বৃদ্ধি অক্সিজেন পায়। খাদ্যে ভর্তুকিকে যুক্তিসঙ্গত করা হলে তা করা সম্ভব বলে মনে করছে সমীক্ষা, ২০১৯-২০ সালে এই ভর্তুকি পিছু ব্যয় হয়েছে ১.৮ লক্ষ কোটি টাকা। শেষ ৬টি ত্রৈমাসিকে অর্থাৎ ২০১৮-র জানুয়ারি-মার্চে ৮.১ শতাংশ থেকে ২০১৯-এর জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৪.৫ শতাংশে নেমে আসা পর্যন্ত অর্থনীতির ক্রমাগত পতন হয়েছে। তবে সমীক্ষায় আশাপ্রকাশ করা হয়েছে ২০২০-২১ সালে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি, বৃদ্ধি ৬-৬.৫ শতাংশে পৌঁছে যাবে।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.