নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় বাজেটে মহিলা (Women Empowerment) এবং শিশুদের উপর বিশেষ গুরুত্ব। সংসদে ‘নারীশক্তি’-র (Nari Shakti) গুরুত্ব তুলে ধরতে তিনটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান (Nirmala Sitharaman)। তার আওতায় মিশন পুষ্টি ২.০, মিশন শক্তি এবং মিশন বাৎসল্য—এই তিন প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে। মিশন শক্তি এবং মিশন বাৎসল্য প্রকল্পের ঘোষণা যদিও আগেই হয়েছিল।.


মঙ্গলবার সংসদে নিজের কার্যকালের চতুর্থতম বাজেট (Budget 2022) পেশ করেন সীতারামন। নারীশক্তি নিয়ে তিনি বলেন, “নারীশক্তির গুরুত্বর উপর জোর দিচ্ছে সরকার। তার জন্য তিনটি প্রকল্প আনা হয়েছে, যার আওতায় মহিলা এবং শিশুদের জীবনযাত্রার সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।”


মিশন পুষ্টি ২.০ প্রকল্পের আওতায় অপুষ্টি দূর করে শিশুদের সুষম আহারের জোগান দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্কুলের মিডডে মিল যেমন পড়ছে, তেমনই অঙ্গনওয়াড়ি থেকে বাড়িতে রেশন জোগানো হবে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে শিশুদের বৃদ্ধি এবং আচরণের উপর চলবে নজরদারিও।২০১৭ সালে প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই প্রকল্পে অনুমোদন মেলে।


আরও পড়ুন: Union Budget 2022: ক্রিপ্টোর পাল্টা, ডিজিটাল রুপি আনছে ভারত


মিশন শক্তি প্রকল্পের আওতায় সরাসরি সরকারি কোষাগার থেকে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, মহিলাদের স্বহনির্ভর হতে সাহায্য করা, একাকী মহিলাদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করার ব্যবস্থা রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে সম্প্রতি মিশন শক্তি ৩.০ প্রকল্পের সূচনা করে কেন্দ্র।


গত বছর ডিসেম্বরে মিশন বাৎসল্য প্রকল্পের সূচনা করে কেন্দ্র। এর আওতায় করোনা কালে স্বামী হারানো মহিলা, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বিধবা মহিলাদের মাথার উপর ছাদ গড়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র।


এ ছাড়াও নারীশক্তির আওতায় অঙ্গনওয়াড়ির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প ‘সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি’ সামনে এনেছে কেন্দ্র। এর আওতায় অঙ্গনওয়াড়িগুলিতে অডিও-ভিস্যুয়াল শিক্ষা, পরিচ্ছন্ন পরিবেশের গড়ে তোলায় জোর দেওয়া হয়েছে। মোট ২ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়িকে এর আওতায় আনা হবে।


কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০১১-র আদমসুমারি অনুযায়ী, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৬৭,৭ শতাংশ মহিলা এবং শিশু। আগের বাজেটে সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি এবং পুষঅটি প্রকল্পের জন্য ২০ হাজার ১০৫ কোটি,  ৯০০ কোটি মিশন বাৎসল্যর জন্য এবং মিশন শক্তির জন্য ৩ হাজার ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন নির্মলা।