নয়াদিল্লি: আর্থিক সমীক্ষায় প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2022) নিয়ে প্রত্যাশা বাড়ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম (P Chidambaram)। তাঁর দাবি, লক্ষ লক্ষ চাকরি গিয়েছে। ৮৪ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে। তাতে অনুশোচনা হওয়া দরকার। পরিবর্তন আনতে পদক্ষেপ প্রয়োজন। তা না করে এটা মোটেই অহঙ্কার করার সময় নয়।


বাজেটের আগে সোমবার সংসদে আর্থিক সমীক্ষা পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তাতে ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের জন্য দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির (Gross Domestic Product/GDP) লক্ষ্যমাত্রা ৮ থেকে ৮.৫ শতাংশ রাখা হয়, যা কি না আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার এবং জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের পূর্বাভাসের চেয়ে অনেকটাই কম। গত অর্থবর্ষে জিডিপি সংকোচনের পর এই ঘোষণাকে নিরাপদ পদক্ষেপ হিসেবেই দেখাতে চেয়েছে কেন্দ্র।


কিন্তু কেন্দ্রের এই অবস্থান নিয়েই প্রশ্ন তোলেন চিদম্বরম। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘সোজা কথা হল, ’২০২২ সালের ৩১ মার্চ জিডিপি-র নিরিখে যে জায়গায় পৌঁছব আমরা, ২০২০-র ৩১ মার্চেই সেখানে ছিলাম আমরা। অর্থাৎ ২০২০-র ৩১ মার্চ যেখানে ছিলাম আমরা, দু'বছরে সেখানেই ফিরলাম।’




আরও পড়ুন: Economic Survey 2022: বারবেল স্ট্র্যাটেজি কী? কোভিড-অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় কীভাবে ব্যবহার করেছিল কেন্দ্র?


চিদম্বরম জানান, গত দু’বছরে মানুষ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছেন। লক্ষ লক্ষ চাকরি চলে গিয়েছে। আয় কমেছে ৮৪ শতাংশ পরিবারের। ৪ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্যে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১১৬ দেশের মধ্যে ১০৪ স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত। তাই চিদম্বরমের কথায়, ‘এটা অনুশোচনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি বদলের সময়, অহঙ্কার এবং একগুঁয়েমির নয়।’


শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থইক সমীক্ষা নিয়ে কেন চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে না, কেন তার নেতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরা হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন চিদম্বরম। বিরোধীদের ভূমিকারও সমালোচনা করেন তিনি। লেখেন, ‘আর্থিক সমীক্ষার পরের সকালে কাগজ খুললে বোঝা যায়, দেশে বিরোধী শিবির বলে কিছু নেই। আর মুষ্টিমেয় বিরোধী যদিও থেকেও থাকেন, অর্থনীতি নিয়ে তাঁদের কোনও মতামত নেই।’