নয়াদিল্লি: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হতে বাজেটে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে (Domestic Defence Procurement) মোট যে অর্থ বরাদ্দ হয় প্রতিবছর, তার ৬৮ শতাংশই দেশীয় সংস্থার কাছ থেকে অস্ত্রশস্ত্র কিনতে খরচ করা হবে বলে জানানো হল। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে দেশীয় সংস্থার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম (Defense Equipments) কিনতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ১০ শতাংশ। অর্থাৎ একধাক্কায় প্রায় সাত গুণ বাড়ানো হল সেই বরাদ্দ।
মঙ্গলবার সংসদে বাজেট (Union Budget 2022) পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। সেখানে প্রতিরক্ষা খাতে দেশীয় বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা এবং উন্নয়নে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা, স্টার্টআপ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও এতে সংযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সীতারামন। বেসরকারি সংস্থার প্রযুক্তি যাচাই করার জন্য গঠন করা হবে একটি স্বাধীন সংগঠনও।
এ বছর সব মিলিয়ে প্রতিরক্ষা খাতে ১৩ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়েছে কেন্দ্র। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে যেখানে বরাদ্দ ছিল ১.৩৫ ট্রিলিয়ন ডলার, ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে জন্য তা বাড়িয়ে ১.৫২ ট্রিলিয়ন ডলার করা হয়েছে। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জন্য বরাদ্দ যেখানে ৪.৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছিল, এ বার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫.২৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'শুধু বড় বড় কথা, পেগাসাস-স্পিন বাজেট', ট্যুইট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এ দিন সংসদে সীতারামন বলংন, “সেনাবাহিনীর জন্য বিদেশি সরঞ্জামের আমদানি কমিয়ে আত্মনির্ভরতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমাদের সরকার। তাই ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার দেশীয় বরাদ্দ আগের অর্থবর্ষের তুলনায় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” সেনাবাহিনীর হাত মজবুত করতে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স, ভূ-স্থানিক প্রযুক্তি, ড্রোনের উপর নির্ভরতা বাড়ানোর কথাও বলেছেন তিনি।
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে দেশীয় বরাদ্দ নিয়ে এ যাবৎ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বিপুল হলেও, তা থেকে মাত্র ২ শতাংশই দেশীয় সংস্থার থেকে সরঞ্জাম কিনতে খরচ হয় বলে অভিযোগ ছিল সমালোচকদের। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে বরাদ্দের নিরিখে গোটা বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ ভারত।