নয়াদিল্লি : ২ কোটি থেকে লক্ষ্যমাত্রা বাড়ল। এবার 'লাখপতি দিদি' প্রকল্পে টার্গেট ৩ কোটি মহিলা। প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের আওতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দিদিরা প্রতি অর্থবর্ষে অন্ততপক্ষে ১ লক্ষ টাকা করে আয় করেন।


অর্থমন্ত্রী বলেন, "৮৩ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৯ কোটি মহিলার আত্মনির্ভরতা ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ সামাজিক-আর্থিক চিত্রটা বদলে যাচ্ছে। তাদের সাফল্যের হাত ধরে প্রায় এক কোটি মহিলা ইতিমধ্যে লাখপতি দিদিতে পরিণত হয়েছেন। তাঁরা অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণা। তাঁদের সম্মানিত করে তাঁদের সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। তাই, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ২ কোটি থেকে লাখপতি দিদির সংখ্যা বাড়িয়ে ৩ কোটিতে নিয়ে যাওয়া হবে।"  


কী এই লাখপতি দিদি ?


মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে 'লাখপতি দিদি' কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রতিটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে একাধিক জীবিকার কার্যক্রম গ্রহণে উৎসাহিত করা হয়। যার ফলে বছরে এক লক্ষ বা তার বেশি আয় হতে পারে মহিলাদের।


এর আগে ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে লালকেল্লায় জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, 'স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে একযোগে কাজ করছে সরকার। যাতে গ্রামে ২ কোটি 'লাখপতি দিদি' তৈরি করা যায়।'


২০২২-২৩ আর্থিক সমীক্ষায়, ৬৫ শতাংশ মানুষ গ্রামীণ ভারতে বাস করেন। ৪৭ শতাংশ মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভর করে জীবন-ধারণ করেন। ৭৯ শতাংশের বেশি গ্রামীণ মহিলা কর্মী কৃষিক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত। যার অর্থ, মহিলাদের দক্ষ হতে হবে এবং কৃষিকাজ নির্ভর কাজ যেমন- ফুড প্রসেসিংয়ে কাজ প্রয়োজন। এখানেই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর। তারা গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিক উন্নয়নে এগিয়ে এসেছে। দক্ষতার উন্নয়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং জীবিকা বৈচিত্র্যের মতো বিষয়গুলিতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। কোভিড অতিমারির সময় তারা  মহিলাদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র পাল্টে দিয়েছে। বাজেট বক্তৃতায় সেকথার প্রতিধ্বনি শোনা যায় অর্থমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, "৮৩ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৯ কোটি মহিলার আত্মনির্ভরতা ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ সামাজিক-আর্থিক চিত্রটা বদলে যাচ্ছে। তাদের সাফল্যের হাত ধরে প্রায় ১ কোটি মহিলা লাখপতি দিদি হয়ে উঠেছেন।"


বাজেট কেমন হল ?


তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ভিএফএস ক্যাপিটালের এমডি এবং সিইও কুলদীপ মাইতি বলেন, "আজকের অন্তর্বর্তী বাজেটে অর্থমন্ত্রী গরিব, মহিলা, যুবক এবং কৃষকদের কল্যাণের উপর জোর দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী গত এক দশকে মহিলা উদ্যোক্তাদের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেছেন এবং তাঁদের ক্ষমতায়নের জন্য ৩০ কোটি মুদ্রা যোজনা ঋণ বরাদ্দ করেছেন। এটি ভারতীয় অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রেখে আরও মহিলা উদ্যোক্তাকে এগিয়ে আসতে প্রেরিত করবে। আমরা 'লখপতি দিদি' স্কিমের লক্ষ্যমাত্রা ২ কোটি থেকে ৩ কোটি মহিলাতে উন্নীত করার সরকারের সিদ্ধান্তকেও সাধুবাদ জানাই। যা মহিলাদের জন্য আর্থিক স্বাধীনতাকে প্রসারিত করার পথকে প্রশস্থ করবে ৷ এই বর্ধিত পরিধি আরও বেশি নারীকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসবে, তাদের অর্থনৈতিক স্বায়ত্তশাসনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। পাশাপাশি, পূর্বাঞ্চলকে ভারতের প্রবৃদ্ধির একটি শক্তিশালী চালক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি লক্ষণীয়। আমরা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই, কারণ এটি পূর্বাঞ্চলে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের নতুন সুযোগ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি রাখে।"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে