নয়াদিল্লি: আগামী বাজেট কেন্দ্রের কাছে ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। বর্তমানে, দেশের অর্থনীতির অবস্থা কার্যত যে বেহাল, তা বলা বাহুল্য। আর্থিক বৃদ্ধি থেকে দেশের মোট জাতীয় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন -- সবকিছুর হার একেবারে নিম্নমুখী। একাধিক আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থার ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হারের পূর্বাভাসের কমিয়ে দিয়েছে। সবমিলিয়ে চাপে দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকার।
এই পরিস্থিতি থেকে কী করে বেরনো সম্ভব, বাজেটের মাধ্যমে তার একটা আভাস দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ফলত, সই দিক দিয়ে এই বাজেট কেন্দ্রের কাছে অগ্নি-পরীক্ষা হতে চলেছে। বর্তমানে মোদি সরকারের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল- ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে কী করে পুনরুদ্ধার করা যায়?
সূত্রের খবর,  প্রধান প্রধান ইক্যুইটি করের কাঠামো ঢেলে সাজিয়ে সময়োপযোগী করার কথা ভাবছে মোদি সরকার। এই জন্য চড়া শুল্ক বসানো হতে পারে। সম্পত্তি বিক্রির ওপর মূলধনী লাভ বাতিল হতে পারে।
ডিভিডেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স-এর ওপর কর প্রযোজ্য হওয়ার দায় এবার থেকে চাপানো হতে পারে প্রাপকের ওপর এবং দীর্ঘমেয়াদী মূলধনী লাভের ওপর করের যে সময়সীমা তা বর্তমান ১ বছর থেকে বেড়ে হতে পারে ২ বছর।
সম্পত্তি বিক্রির ওপর মূলধনী লাভের বিষয়টি উঠে গেলে রিয়েল এস্টেট সেক্টর কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে। বর্তমানে এই সেক্টর প্রবল সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলেছে। বর্তমানে সম্পত্তি বিক্রির মাধ্যমে যে মূলধনী লাভ হয়, তার ওপর এখন ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়। যদি না সম্পত্তির মালিক তাতে তিন বছরের মধ্যে পুনর্বিনিয়োগ করেন।
বর্তমানে কোনও সম্পত্তি ২ বছরের মধ্যে বিক্রি হলে, নিজ আয়কর স্ল্যাব অনুয়ায়ী যে কোনও ব্যক্তিকে লাভের ওপর স্বল্পমেয়াদী মূলধনী লাভ কর দিতে হয় (এসটিসিজি)।  এরপর, দিতে হবে দীর্ঘমেয়াদী মূলধনী লাভ কর ২০ শতাংশ হারে।
একটা সম্পত্তি বিক্রি করার পর যদি আরেকটা সম্পত্তি কেনা হয়, তাহলে আয়করে ছাড় পাওয়া যায়। তবে কিছু শর্ত আছে।  এই ছাড় সম্পত্তি বিক্রি থেকে প্রাপ্ত মূলধনী লাভের অঙ্ক সর্বাধিক দুটি বাড়ি কিনতে বা নির্মাণ করতে পুনর্বিনিয়োগ করা হয়েছে।
তবে, মূলধনী লাভ ২ কোটি টাকার বেশি হলে এই ছাড় পাওয়া সম্ভব নয়। আর এটা জীবনে একবারই মেলে। আবার প্রাপ্ত ছাড় প্রত্যাহার করা হবে, যদি নতুন সম্পত্তি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করা হয়। সেক্ষেত্রে নতুন সম্পত্তি বিক্রি করে প্রাপ্ত মূলধনী লাভ এসটিসিজি০র আওতায় পড়বে।