ক্যান্সার রোগীদের জন্য বড় ঘোষণা করা হল কেন্দ্রীয় বাজেটে। আগামী দিনে এই ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসায় অনেকটাই সুবিধে দিতে পারে এই পদক্ষেপ। দাম কমতে পারে অনেক বহুমূল্য ক্যান্সারের ওষুধের। ক্যান্সার-সহ ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধ পুরোপুরি শুল্কমুক্ত করল কেন্দ্র। এছাড়াও জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালে ক্যানসার সেন্টার তৈরি হবে বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী ও দেশে আরও ২০০টি ডে কেয়ার ক্যানসার সেন্টারও করা হবে। 

Continues below advertisement

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারণ তাঁর অষ্টম কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের সময় জানালেন, এবার সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ লক্ষ্য রাখছে এই বাজেটে। আর এই বাজেট সর্বোপরি মধ্যবিত্তের কথা ভেবে, জানালেন নির্মলা। আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির অন্যতম মাথা ব্যথার কারণই হল চিকিৎসা। আর ক্যান্সার বা অন্যান্য বিরল রোগের ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তের মাথায় বাজ পড়ে যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে মানুষকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধে দিল সরকার। ক্যান্সার ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিরল রোগের ওষুধকে আরও সহজলভ্য করে দেওয়া হল। এর ফলে বিপদের সময়ও অনেকটা সাশ্রয় হতে পারে। 

ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। কর্কটরোগে আক্রান্তদের জন্য সুখবর। এবার ওষুধের দাম আরও সস্তা হবে। এটা নিঃসন্দেহে বড় সুরাহা।  অর্থমন্ত্রী ঘোষণা, এবার ক্যান্সার সহ ৩৬ টি কঠিন রোগের ওষুধের ওপর মৌলিক শুল্ক থেকে পুরোপুরি অব্যাহতির দেওয়া হল। উপরন্তু, সরকার আগামী তিন বছরের মধ্যে সমস্ত জেলা হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের জন্য ডে-কেয়ার  সেন্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এটি উল্লেখযোগ্যভাবে ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে অনেকটাই মানসিক ও আর্থিক সুবিধা নিয়ে আসবে।  

Continues below advertisement

স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে এবারের বাজেটে রয়েছে আরও অনেকগুলি ঘোষণা। যেমন আগামী ৫ বছরে চিকিৎসা শাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করারও সুযোগ বাড়বে।  আগামী ৫ বছরে ৭৫ হাজারটি বেশি সিট বাড়ানো হবে। সারা দেশে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে চিকিৎসকের চাহিদা বাড়ছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ। এছাড়া স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রয়োগ আরও বাড়াতে এআই সেন্টার তৈরি করা হবে। এর জন্য সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সবকটি পদক্ষেপই সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়ন ঘটাবে। সেটা চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা হোক বা  চিকিৎসায় প্রযুক্তির ব্যবহার অথবা চিকিৎসার খরচ কমানো, সব ক্ষেত্রেই।             

আরও পড়ুন :

১২ লক্ষ টাকা অবধি কোনও আয়কর লাগবে না