নয়াদিল্লি: বাজেট ভাষণের শুরুতে জিএসটির কার্যকারিতা ব্যাখ্যা করে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের দাবি, জিএসটির ফলে গ্রাহকদের বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকা লাভ হয়েছে। এতে ইনস্পেক্টর রাজের অবসান হয়েছে, পরিবহণ সেক্টরের উপকার হয়েছে। পরিবহণ ও লজিস্টিকস সেক্টরের কার্যক্ষমতার মান বেড়েছে। এতে মাইক্রো ও ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্পের সুবিধা হয়েছে। ২০২০-র এপ্রিল থেকে জিএসটি রিটার্ন সহজ করা হচ্ছে বলেও বাজেট ভাষণে জানালেন তিনি।
এদিকে নরেন্দ্র মোদি সরকারের পক্ষে সুখবর। রাজস্ব ঘাটতির ধাক্কায় যখন হিমসিম খাচ্ছে সরকার, তখন জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ বার্ষিক হিসাবে ৮.১২ শতাংশ বেড়ে জানুয়ারি ২০২০-তে ১, ১০, ৮২৮ কোটি টাকা হয়েছে বলে জানা গেল। জিএসটি চালু হওয়ার পর থেকে এই নিয়ে মাত্র দুবার মাসিক রাজস্ব সংগ্রহ১.১ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়াল। আর বছরে এই নিয়ে ষষ্ঠবার তা ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি হল। যদিও অতীতের প্রবণতা অনুসারে এই বৃদ্ধি প্রত্যাশিতই ছিল।
জানুয়ারিতে যে মোট ১,১০,৮২৮ কোটি টাকা সংগ্রহ হয়েছে, তার মধ্যে সিজিএসটি ২০,৯৪৪ কোটি টাকা, এসজিএসটি ২৮২২৪ কোটি টাকা ও আইজিএসটি ৫৩০১৩ কোটি টাকা (আমদানি খাতে ২৩৪৮১ কোটি টাকা সহ)। জানুয়ারিতে মোট সেস বাবদ এসেছে ৮৬৩৭ কোটি টাকা যার মধ্যে আমদানিতে এসেছে ৮২৪ কোটি টাকা।
৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ডিসেম্বরের জন্য মোট দাখিল হওয়া জিএসটিআর ৩ বি রিটার্নের সংখ্যা ছিল ৮৩ লক্ষ, যার অর্থ নয়া কর ব্য়বস্থা মেনে চলার প্রবণতা বেড়েছে।
জানুয়ারি ২০২০-তে অভ্যন্তরীণ লেনদেন থেকে প্রাপ্ত জিএসটি রাজস্ব গত বছর একই মাসে আসা রাজস্ব থেকে বেড়েছে ১২ শতাংশের বেশি, যা বেশ সন্তোষজনক।


জানুয়ারি ২০২০-তে রেগুলার সেটলমেন্টের পর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির মোট রাজস্ব আয় হয়েছে সিজিএসটি ৪৫৬৭৪ কোটি টাকা ও এসজিএসটি ৪৬৪৩৩ কোটি টাকা।