নয়াদিল্লি : ৫ রাজ্যে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এবারের বাজেট (Budget 2022 ) কি হবে জনমোহিনী? বাজেট কি হবে গ্রাম এবং কৃষি নির্ভর? জোর দেওয়া হবে কোন কোন সামাজিক ক্ষেত্রে? মোদি সরকার কি আমূল সংস্কারের পথে হাঁটবে?না কি বিশেষ পরিবর্তনের পথে পা দেবে না কেন্দ্র? প্রাক বাজেট দিবসে দেশের কোনায় কোনায় এই আলোচনাই তুঙ্গে। 


দুই বছর ধরে কোভিডের তিন তরঙ্গে টানমাটাল দেশ। অর্থনীতি , শিক্ষা, নিয়োগ সবতেই বড়সড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে ভারত । অতিমারীর ধাক্কায় ফার্মা শিল্পও নানা উত্থান পতনের সম্মুখীন হয়েছে।  এই সঙ্কটকালে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে জোরদার করতে সরকার নীতি চালু করেছে। কিন্তু জনস্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা মনে করছেন দেশের জিডিপির নিরিখে জনস্বাস্থ্যে বরাদ্দের পরিমাণ এখনও  কম। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়াবে বলেই আশা করছে স্বাস্থ্য ও ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। 


সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে ভারতীয় ফার্মাস্যুটিকল অ্যালায়েন্সের মহাসচিব সুদর্শন জৈন জানান, "ভারতীয় ফার্মাস্যুটিকল শিল্প দেশের জন্য এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  সারা বিশ্বে সাশ্রয়ী মূল্যে ভাল মানের ওষুধ সারা বিশ্বে পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিনিয়োগ হলে ভাল হয়। '' জৈন আরও বলেন যে, দেশ গত দুই বছর ধরে অতিমারীর সঙ্গে লড়াই করছিল। এই সময়ে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো পোক্ত করার দাবি উঠেছে। " জিডিপির মাত্র ১.২ শতাংশ খরচ করে এটি করা যাবে না, এবং পরিবর্তে এই বছর স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় জিডিপির ২.৫ শতাংশের কাছাকাছি হওয়া উচিত।" মত তাঁর।

আরও পড়ুন :


আগামী ২৫ বছরের মধ্যে তৈরি হবে শক্তিশালী ভারত, বাজেট অধিবেশনের শুরুতে বার্তা রাষ্ট্রপতির


কোভিড -১৯ অতিমারী পরিস্থিতি স্বাস্থ্য পরিষেবার কাছে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে হাজির হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব এবং মৌলিক চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল দেশের মানুষ। বিশেষত গ্রামীণ অঞ্চলে বহু মানুষ পরিকাঠামোর অভাবে আতান্তরে পড়েন এই সঙ্কটকালে। তাই এই সময় স্বাস্থ্যখাতে বেশি বরাদ্দ আশা করছে ফার্মাস্যুটিক্যাল শিল্পক্ষেত্র। আইএনএক্স সংবাদসংস্থাকে বলেছেন রেডিক্স হেলথকেয়ারের চিকিৎসক মল্লিক ( Ravi Mallik of Radix Healthcare)। 


 ডিএমএ নার্সিং হোম ফোরামের চেয়ারম্যান ডাঃ ভি.কে.মঙ্গা বলেন, কোভিড মহামারী দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর অভাবের দিকটি উন্মোচিত করেছে। "এই ধরনের মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের জনস্বাস্থ্যের ব্যয় মোট জিডিপির কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ করতে হবে।" তিনি আরও বলেন, জনস্বাস্থ্য খাতে কম সরকারি ব্যয় প্রাইভেট সেক্টরকে কে সুবিধে করে দেবে।


শেষ পর্যন্ত দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষ বাজেট-প্রত্যাশার কতটা পূরণ করতে পারে এবারের বাজেট, তার উত্তর মিলবে একদিন পরই।