নয়া দিল্লি : অটল বিহারী বাজপেয়ি জমানায় সড়ক পরিকাঠামো গতি এনেছে ভারতীয় অর্থনীতিতে। একথা শিকার করেন অনেক বিরোধীই। যার সুফলও বিভিন্ন সময় পেয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই পথেই এবার হাঁটল মোদি সরকার। পরিকাঠামো খাতে ঢেলে বরাদ্দের কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Finance Minister) নির্মলা সীতারামন। বিশেষ করে রেলে। রেল প্রকল্পগুলির (Railway Projects) জন্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে বলে ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।


গতকাল অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্টে জানানো হয়েছিল, আগামী ১০ বছরে রেলে বিশাল পরিমাণ খরচ হতে চলেছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত, রেলে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল বাৎসরিক ৪৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা পর্যন্ত। যদিও রেলের অনেক ক্ষেত্রেই অদক্ষতার অভিযোগ উঠেছে। কোন কোনও রুটে ট্রেনে ভিড়ের ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠে যায় যাত্রীদের। অথচ পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় সেঅর্থে কোনও পদক্ষেপ করা যায়নি। সেসব বিষয়ে নজর রেখেই সম্ভবত এবার রেল খাতে বিশাল পরিমাণ বরাদ্দের কথা ঘোষণা করা হল। ২০২৩ সালে রেলে আরও বেসরকারি বিনিয়োগ আসতে চলেছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।


ভারতীয় রেল বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ বৈদ্যুতিক রেল নেটওয়ার্ক পরিষেবায় পরিণত হতে চলেছে। এই প্রক্রিয়ায় চলতি অর্থবর্ষে ১ হাজার ৯৭৩ কিলোমিটার রেলপথ বৈদ্যুতিকরণের আওতায় আনা হয়েছে। যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি আমাদের রাজ্যে সূচনা হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। দেশের আরও কয়েকটি প্রান্তে চালু হয়েছে। এবার সেই গতি বজায় রেখেই ভারতীয় রেল আগামীদিনে আরও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নামাতে চলেছে।  


শুধু তা-ই নয়, এতদিন দেশের যে সব প্রান্তে রেল নেটওয়ার্ক সেঅর্থে পৌঁছায়নি, এবার সেইসব জায়গাতেও পৌঁছে দেওয়া হবে পরিকাঠামো পরিষেবা। জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বের প্রকল্পে আরও নজর দেওয়া হবে।


এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে ভারতীয় রেল চতুর্থ স্থানে রয়েছে। তার পর থেকে অবশ্য পরিকাঠামো ও পরিষেবা উন্নয়নে অনেক কাজ হয়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিককালে রেলে বন্দে ভারতের সূচনা সাড়া জাগিয়েছে। ভারতের প্রথম সেমি হাই-স্পিড ট্রেন। যার গতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।


গত বছরের কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ১,৩৭,০০০ কোটি টাকা রেলমন্ত্রকে বরাদ্দ করা হয়েছে। সীতারামনের মতে, মোদি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত-এর আওতায় ভারতীয় রেলের ২ হাজার কিলোমিটার রেলপথকে কবচ-এর আওতায় আনা হবে। যা নিরাপত্তার জন্য ঘোষণা করা হয়েছিল। এই প্রযুক্তির সহায়তায় আগামী দিনে রেলকে সিঙ্গল এররে পরিণত করার সম্ভাবনা থাকছে।    


আরও পড়ুন ; কেমন হল নতুন কর কাঠামো ?