নয়া দিল্লি : ভোটমুখী বাজেট যে 'জনমোহিনী' হবে তার প্রত্যাশা ছিলই। সেই প্রত্যাশা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কতটা পূরণ করতে পারলেন তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হবে। কিন্তু, কর কাঠামোয় যে সুবিধা মিলতে চলেছে তা অনেকটাই আঁচ করে নিয়েছিল মধ্যবিত্ত। সেইমতোই বাড়ানো হল আয়করের ঊর্ধ্বসীমা। ৫ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হল আয়কর। অর্থাৎ, ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাঁদের আয়, তাঁদের কোনও আয়কর দিতে হবে না।
নতুন কর কাঠামো কেমন হতে চলেছে ?
নতুন কর কাঠামোয় বার্ষিক ৩ লক্ষ আয়ে দিতে হবে না কর
৩ থেকে ৬ লক্ষ টাকা আয়ে ৫ শতাংশ আয়কর।
৬ থেকে ৯ লক্ষ পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে ১০ শতাংশ।
৯ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১৫ শতাংশ আয়কর।
১২ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ২০ শতাংশ আয়কর।
১৫ লক্ষর বেশি আয়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত আয়কর।
অর্থাৎ এককথায় বলতে গেলে, নতুন কর কাঠামোয় বার্ষিক ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে ৪৫ হাজার টাকা। ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কর দিতে হবে ১.৫ লক্ষ টাকা। বেসরকারি সংস্থায় ছুটি বিক্রি করে মিলবে ২৫ লক্ষ টাকা।
এই ঘোষণায় উচ্ছ্বসিত মধ্যবিত্তরা। কিন্তু, কতটা লাভবান হবে মধ্যবিত্ত ? এপ্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলছেন, এর জেরে ধনীদের যে সুবিধাটা হচ্ছে, সেই অনুযায়ী মধ্যবিত্তের লাভ হল না। এই ছাড় অনেকদিন পড় দেওয়া হল। কিন্তু, ইতিমধ্যে দাম অনেক বেড়ে গেছে। চার বছর আগে ৩৭ হাজার টাকার যে দাম ছিল তা আর এখন নেই।
এর পাশাপাশি একাধিক ক্ষেত্রে বরাদ্দের কথা ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা, রেল, কৃষি, শিল্প, প্রতিরক্ষা- প্রায় সবক্ষেত্রেই বরাদ্দ করা হয়েছে। রেল প্রকল্পগুলির জন্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানানো হয়েছে। যা কার্যত সর্বকালীন রেকর্ড।
আরও পড়ুন ; ২০১৩-'১৪ অর্থবর্ষের তুলনায় ৯ গুণ বেশি, সর্বকালীন রেকর্ড বরাদ্দ রেলে !