Budget 2023: বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার আবহের মাঝেই আশা জাগালেন অর্থমন্ত্রী। মোদি সরকারের অন্য়তম কান্ডারি জানালেন,বিশ্বের তুলনায় অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই  সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ভারত। এখন ভারতকে উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে দেখছে বিশ্ব। বর্তমানে ৭ শতাংশ রয়েছে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার। জেনে নিন,কী কী বিষয়ে জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। 


৩৮ হাজার ৮০০ শিক্ষক নিয়োগ, আবাস যোজনায় বাড়ল বরাদ্দ
৩৮ হাজার ৮০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে মডেল আবাসিক স্কুলের জন্য, যেখানে সাড়ে তিন লক্ষ জনজাতি পড়ুয়া পড়াশোনা করবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়  ৭৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ। ১ লক্ষ প্রাচীন লিপির ডিজিটালকরণ।


 শিক্ষকদের নতুন করে প্রশিক্ষণ, জাতীয় ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরি
স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণে জোর। ১৫৭টি নার্সিং কলেজ, চার জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে।  ওষুধ নিয়ে যাতে নতুন গবেষণা হয়, কেন্দ্র উৎসাহ দেবে। নতুন চিকিৎসা সরঞ্জাম আনা হবে। শিক্ষকদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করছি। শিশু এবং কিশোরদের জন্য জাতীয় ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরি করা হবে। তাতে উন্নতমানের বই থাকবে। সকলের নাগালের মধ্যে থাকবে। রাজ্যগুলিকে লাইব্রেরি তৈরিতে উৎসাহ। ইংরেজি এবং স্থানীয় ভাষায় বই প্রকাশে জোর।


পশুপালন, মৎস্যচাষের উপর বিশেষ নজর, ৬ হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ বরাদ্দ


পশুপালন, মৎস্যচাষের উপর বিশেষ নজর। ৬ হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ বরাদ্দ করা হচ্ছে। ছোট এবং মাঝারি কৃষকদের জন্য সমবায় অর্থনৈতিক মডেলের কথা ভাবছে সরকার। ৬৩ হাজার প্রাথমিক কৃষি সোসাইটিকে কম্পিউটারাইজড করা হবে। জাতীয় সমবায় তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা হবে। তাকে কাজে লাগিয়ে ফসল মজুতের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে উপযুক্ত সময়ে, ন্যায্য মূল্যে ফসল বিক্রি করতে পারেন কৃষকরা। সমবায়গুলি দেখবে কৃষকরা যাতে শস্য ঠিক মতো বাজারে পৌঁছে দিতে পারেন। 


হর্টিকালচারাল শস্যের জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ


'কৃষকদের জন্য ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। এর ফলে কৃষকদের বহু সমস্যার সমাধান হবে। ঋণ, বিমা এবং বাজার সংক্রান্ত তথ্য কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। কৃষির উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কৃষকরা যাতে উৎপাদন বাড়াতে পারেন। পাবলিক এবং প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হবে। হর্টিকালচারাল শস্য, যার দাম বেশি, তার জন্য ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ। খাদ্যের নিরাপত্তা, কৃষকদের কল্যাণে জোর।'


'এই বাজেটের সাতটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, সপ্তঋষি বলছি। সকলকে উন্নয়নে শামিল করা, পরিকাঠামোর উন্নয়ন, কম বয়সিদের বৃদ্ধিতে জোর। কৃষক, মহিলা, অনগ্রসর শ্রেণি, তফসিলি জাতি, উপজাতি, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া সকলকে বৃদ্ধির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর এবং পূর্বাঞ্চলের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।'