নয়া দিল্লি : কাল,  ১ ফেব্রুয়ারি মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ সাধারণ বাজেট (Union Budget) পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী (Finance Minister) নির্মলা সীতারমণ। এনিয়ে আশায় বুক বাঁধছে আমজনতা। লোকসভা ভোটের আগে এই বাজেট 'জনমোহিনী' হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সে তো আশা প্রত্যাশার বিষয়। কিন্তু, বাজেট পেশের আগে এই সংক্রান্ত বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে আমরা চোখ রাখছি। এই প্রতিবেদনের আলোচ্য বিষয় হল- ফিনান্স বিল বা অর্থ বিল।


কী এই ফিনান্স বিল ?


কেন্দ্রীয় বাজেটের নথির অংশ হিসেবে ফি বছর সংসদে পেশ হয় অর্থ বিল। বার্ষিক বাজেটে কর প্রস্তাবনায় কোনও পরিবর্তন করতে হলে প্রয়োজন পড়ে এই বিলের। সংবিধানের ১১০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, অর্থ বিল শুধুমাত্র সংসদের নিম্নকক্ষ বা লোকসভায় পেশ করা যেতে পারে। এটি রাজ্যসভায় পেশ করা যাবে না বা উভয় কক্ষের যৌথ কমিটিতেও পাঠানো যাবে না। একটি বিল অর্থ বিল হিসাবে তখনই বিবেচিত হয়, যখন এটি শুধুমাত্র কর, সরকারি রাজস্ব, সরকারি ব্যয় এবং সরকারি ঋণের মতো আর্থিক বিষয়গুলির সাথে সম্পর্কিত থাকে।


একবার বিল লোকসভায় পাস হয়ে গেলে, তা সংসদের উচ্চ কক্ষে পাঠানো হয়। যা আবার ১৪ দিনের মধ্যে সুপারিশ ছাড়া বা সুপারিশ-সহ ফিরে আসতে হবে। তবে, লোকসভা রাজ্যসভার এই সুপারিশ গ্রহণ করতে পারে, আবার প্রত্যাখ্যানও করতে পারে। যদি ১৪ দিনের মধ্যে রাজ্যসভা থেকে বিল ফিরে না আসে, তাহলে উভয় কক্ষে তা পাস হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া হবে।


ফিনান্স বা অর্থ বিলের উদ্দেশ্য কী ?


কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার পর পরই নিম্ন কক্ষে পেশ করা হয় ফিনান্স বা অর্থ বিল। সরকার যখন কর মকুব, বিলোপ বা নিয়ন্ত্রণের নিয়ম পরিবর্তন প্রস্তাব করে বা কর পরিবর্তনের প্রস্তাব করে, তখন অর্থ বিল আসন্ন আর্থিক বছরের জন্য এই প্রস্তাবগুলিকে কার্যকর করে। সংশ্লিষ্ট বিলটি বিভিন্ন কর সংক্রান্ত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে এবং প্রতিটি উদ্দেশ্যে একটি পৃথক সংশোধনী আইন আনার প্রয়োজনীয়তা দূর করে। 


সংসদের উভয় কক্ষে পাস হয়ে যাওয়ার পর, ফিনান্স বিল আইনে পরিণত হয়। শেষে রাষ্ট্রপতির সম্মতির প্রয়োজন পড়ে। রাষ্ট্রপতি অর্থ বিলকে স্থগিত রাখতে বা তার সম্মতি দিতে পারেন। কিন্তু, হাউসে অর্থ বিল ফেরত দিতে পারবেন না।


আরও পড়ুন ; রেলের ভাড়ায় ছাড় পেতে পারেন প্রবীণরা? আসন্ন বাজেটে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা নিয়ে আশাবাদী আমআদমি